ভাঙড়: নিজের এলাকাতেই ঢুকতে বাঁধা এইএসএফয়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Naushad Siddiqui) । ভাঙড়ে (Bhangar) ঢোকার আগেই রাজারহাটে আটকে দেওয়া হল তাঁকে। দীর্ঘক্ষণ ধরে গাড়িতেই বসে রয়েছে বিধায়ক। শুক্রবার নিহত আইএসএফ (ISF) কর্মীদের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।সেই মতো এদিন সকালে তিনি ভাঙড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। যদিও ভাঙড়ের হাতিশালা মোড়ের কিছুটা দূরে তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী ব্যারিকেড করে রেখেছে ওই রাস্তা। পুলিশের দাবি, এলাকায় ১৪৪ ধারা (Section 144) জারি রয়েছে। এই অবস্থায় তাঁকে এলাকায় প্রবেশ করতে দিলে নতুন করে আবার অশান্তি ছড়াতে পারে।
বারবার অশান্ত হয়ে উঠছে ভাঙড়। মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজি হয়েছে, চলে গুলিও। এই অবস্থায় অশান্তি থামাতে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। ভাঙড়ের প্রবেশ পথে নাকা পয়েন্ট করা হয়েছে। নির্দিষ্ট কয়েকজন ছাড়া আপাতত ভাঙড়ে অন্য কারও প্রবেশের অনুমতি নেই। শুক্রবার সকাল ১০টায় নওশাদের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। তখন থেকে গাড়িতে বসে রয়েছেন নওশাদ। ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তাই ওই এলাকায় নওশাদকে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। এলাকার বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও কেন ভাঙড়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না, এই নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নওশাদ।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | কোচবিহারে বিজেপির তথ্যানুসন্ধান দল, আহত এবং মৃতের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত
পুলিশের দাবি, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তা ভেঙে বিধায়কে এলাকায় ঢুকতে দিলে নতুন করে আবারও অশান্তি তৈরি হতে পারে। ডিএসপি ক্রাইম-সহ অন্যান্য় পুলিশ আধিকারিকরা রয়েছেন ঘটনাস্থলে। নওশাদ বলেন, আমি বিধায়ক। আমি তো এলাকায় গিয়ে কোনও অশান্তি করছি না। আমার কাছে পরিচয় পত্র আছে। সঙ্গে বেশি লোকজন নেই। কিন্তু পুলিশের কথায় ষাদের ভিতরে যাওয়ার অনুমতি আছে , তাদের নামের তালিকা পুলিশের কাছে আছে। সেই তালিকায় আমার নাম নেই। অথচ তৃণমূলের একাধিক নেতার নাম আছে, বলে অভিযোগ নওশাদের।
পঞ্চায়েত ভোট মনোনয়ন পর্ব থেকেই অশান্তিতে শিরোনামে উঠে এসেছে ভাঙড়। বার বার সংঘর্ষ, বোমাবাজিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাঙড়ে। ঝরেছে রক্তও। মনোয়ন পর্বে তৃণমূল-আএএসএফের সংঘর্ষে ৩জনের মৃত্যু হয়েছিল। গত মঙ্গলবার ভোটের গণনার দিনও পুলিশ-আইএসএফয়ের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড়। কাঁঠালিয়ায় গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। তাঁদের মধ্যে দু’জন ছিলেন আইএসএফ কর্মী। এক জন গ্রামবাসী বলে দাবি। আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন। বৃহস্পতিবারও চালতাবেড়িয়ায় দুপুরে বোমা বিস্ফোরণে জখম হন আইএসএফের চার কর্মীসমর্থক। এই আবহে শুক্রবার ভাঙড় যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়লেন নওশাদ।