খড়্গপুর: জয়ী হয়েই সিপিআইএম প্রার্থী যোগ দিলেন তৃণমূলে। এর জেরে গোটা গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে এল তৃণমূলের। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশিরভাগ আসনে তৃণমূল জয় লাভ করলেও খড়্গপুরের কয়েকটি জায়গাতে বিরোধীরাও আসন পেয়েছে। খড়্গপুর গ্রামীণের বড়কলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩০টি আসনের ১৪টি পেয়েছিল তৃণমূল, বিজেপি ১৩, নির্দল ২ ও সিপিআইএম ১টি করে আসন পায়। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে সিপিআইএমের প্রার্থী আফরোজা বেগম, অনুগামীদের নিয়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে বড়কলা গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে নিল তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, এমন অনেক জায়গা থেকেই বিরোধীরা ভিড় করছেন তৃণমূলে যোগদান করার জন্য।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বড়কলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতে একটা মাত্র গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী কম থাকায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। নির্দলের প্রার্থীরা বিজেপির সঙ্গ দিয়ে যে কোনও মুহূর্তে গ্রাম পঞ্চায়েতের একচ্ছত্র অধিপত্য নিতে পারে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সেই আশঙ্কাকে উড়িয়ে সিপিআইএমের গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী প্রার্থী আফরোজা বেগম বৃহস্পতিবার রাতে মেদিনীপুরে এসে তৃণমূলের জেলা পার্টি অফিসে যোগদান করেন। তাঁর হাতে পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। সুজয়ের দাবি, আরও অনেকেই আছে বিরোধীরা ওই পঞ্চায়েতে যারা আমাদের সঙ্গে শামিল হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। তবে নির্দলের কাউকেই নেওয়া হবে না ভুলে জানিয়ে দেন তিনি।
এদিন যোগদানের পর আফরোজা বেগম বলেন, সিপিএমের হয়ে আমি এলাকায় উন্নয়ন করতে পারতাম না। উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলে যোগদান করলাম ১৫০ অনুগামীদের নিয়ে।