মুর্শিদাবাদ: মঙ্গলবার সকাল ৮ থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা। মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন যে লাগাম ছাড়া উত্তাপ শুরু হয়েছিল, তা অব্যাহত গণনার দিনেও। মঙ্গলবার দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর বারবার ভিড় জমাচ্ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। ভিড় সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় বাহিনীকে।এদিকে ওই জমায়েতের মধ্যেই ছিলেন সামসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। তাঁকেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সেখান থেকে সরিয়ে দিতে চান। কিন্তু তাতে বাধা দেন বিধায়ক।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | পর্যাপ্ত বাহিনী দেয়নি কেন্দ্র, পাল্টা দুষলেন কমিশনার রাজীব সিনহা
তখনই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আমিরুল ইসলামের বক্তব্য, তিনি সেখানে এক পঞ্চায়েত প্রার্থীর এজেন্ট হিসাবে এসেছিলেন। কেন্দ্রীয় জওয়ানরা সে কথা মানতে চাননি। তাঁদের পরিষ্কার বক্তব্য, কোনওভাবে গণনাকেন্দ্রের অদূরে ভিড় করা যাবে না। বিধায়ক ও তাঁর অনুগামীরা যেন ওই এলাকা ছেড়ে চলে যান। সে সময়ে দুপক্ষের বাদানুবাদ হয়। আর সে সময়েই ধাক্কাধাক্কি হয়।
সকালেই সামশেরগঞ্জের হিরানন্দপুরে বোমাবাজি হয়। নির্দল ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভোটের পরের দিনই নির্দল সমর্থক এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে গন্ডগোলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।