কলকাতা: আগামিকাল মঙ্গলবার রাজ্যে দশম ত্রিস্তরীয় ও পাহাড়ে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা (Panchayat vote counting)। মঙ্গলবার গণনা শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে। প্রথমে গণনা হবে ইলেকশন ডিউটি ভোটের। গোটা রাজ্যে মোট ৩৩৯টি জায়গায় গণনা হবে। গণনা কেন্দ্রগুলিতে থাকছে সিসিটিভির নজরদারি। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) ও রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে থাকবে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সবচেয়ে বেশি গণনা কেন্দ্র থাকছে মুর্শিদাবাদের ২৬। এরপরই রয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরে ২৫, পূর্ব বর্ধমানে ২৩ টি, বাঁকুড়াতে ২২ টি, উত্তর ২৪ পরগনায় ২২টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ২২, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১ টি, পুরুলিয়া ২০ টি, বীরভূমে ১৯ টি, নদিয়া ১৮টি, হুগলিতে ১৮ টি,মালদায় ১৫ টি, হাওড়ায় ১৪ টি, কোচবিহারে ১২ টি, জলপাইগুড়িতে ১০ টি, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৮ টি, ঝাড়গ্রাম ৮ টি, পশ্চিম বর্ধমানে ৮টি, উত্তর দিনাজপুরে ৮টি, আলিপুরদুয়ার ৬ টি, দার্জিলিঙে ৫ টি, কালিম্পংয়ে ৪ টি।
মোট ৩৩৯ টি গণনা কেন্দ্র। গণনায় চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী নেওয়া যাবে না নির্দেশ কমিশনের। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফল ঘোষণা হয় গণনা টেবিল থেকে। পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের ফলাফল ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট বিডিও। প্রত্যেক স্তরে দু রাউন্ড করে গণনা হবে। অর্থাৎ, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ মিলিয়ে মোট ৬ রাউন্ড গণনা। গণনার সময় প্রতিটি ব্যালট পেপার খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণের নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। ব্যালট পেপারের পিছনে সংশ্লিষ্ট বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের সই এবং রাবার স্টাম্প না থাকলে সেই ব্যালটকে বৈধ বলে গণ্য করা হবে না। নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। প্রতিটি জেলার জেলা শাসককে এই নির্দেশ পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: Panchayat Election | ভোটে হিংসা, নির্বাচন কমিশন ও বিএসএফের কাছে রিপোর্ট তলব আদালতের
শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের দিনই বিভিন্ন জেলা রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়ে ছিল। রাজনৈতিক হিংসায় শুধু মাত্র ভোটের দিন প্রাণ হারিয়েছে ১৮ জন। জায়গায় জায়গায় ভোট লুঠ, ছাপ্পা, ব্যাটল বাক্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অনেক বুথে সকাল একঘণ্টার মধ্যেই ভোট গ্রহণ শেষ হয়ে যায়। আবার কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখাও মেলেনি। বেশকিছু রাজনৈতিক সংঘর্ষে ভোটদান বন্ধ হয়ে যায়। ভোট শেষের পরেই জেলা প্রশাসনের থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে কোন জেলায় কতগুলি বুথে পুনরায় ভোট হবে, রবিবারই তার তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। সেই মতোই সোমবার রাজ্যের ৬৯৪ কেন্দ্রে শুরু হয় পুনর্নির্বাচন। অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোট রাজ্যের হানাহানি ষে ঘটনা ঘটেছে সেই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় বিএসএফের আইজি এবং রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।