প্রকাশের সময় :
সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩, ০৫:০৯:০৯ পিএম
/
৬৫
বার খবরটি পড়া হয়েছে
প্রীতি সাহা
তমলুক: তৃণমূল নেতাকে মারধর এবং রাজ্য সড়ক অবরোধ করে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট সহ একাধিক অভিযোগে বিজেপির নেতা সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করল তমলুক থানার পুলিশ। গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ব্লকের নাইকুড়ি ঠাকুরদাস ইনস্টিটিউশনের স্ট্রংরুমের সামনে তমলুক শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চঞ্চল কুমার খাঁড়াকে ব্যাপক মারধর করা হয়। তৃণমূল নেতার মোটারসাইকেল সহ একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কীতিরা। অভিযোগের তির জেলা বিজেপির নেতৃত্বে দিকে।
রবিবার রাতে তমলুক মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক সাকিব আহমেদ বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে আহত চঞ্চল কুমার খাঁড়াকে উদ্ধার করেন। তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় ওই তৃণমূল নেতাকে। হাসাপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন চঞ্চল কুমার খাঁড়া। তবে এখনই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং অপোরাধীদের খোঁজে তল্লাশিতে নামে। তৃণমূল নেতাকে মারধরের ঘটনায় রাতেই তমলুক থানার পুলিশ বিজেপির এক নেতা সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের সোমবার তমলুক জেলা আদালতে তোলা হয়।
প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন। এই বৈঠক নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজধানী দিল্লি এবং কলকাতার রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, শনিবার বাংলার পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে শাহের কথা হতে পারে।
শনিবার পর্ব মেটার আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান। তারপরই সুকান্ত কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে অমিত শাহকে চিঠিও দেন। সেই চিঠিতে তার অভিযোগ, বাংলার পঞ্চায়েত ভোটকে তৃণমূল পরিচালিত শাসকদল প্রহসনে পরিণত করেছে। আবার ভোট চলাকালীন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেন, ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ না করলে বাংলাকে বাঁচানো যাবে না। আমি বাংলাকে বাঁচানোর জন্যই পাঁচটা দফতর এবং উপমুখ্য মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব উপেক্ষা করে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছি। পতাকা ধরেই হোক বা পতাকা ছেড়েই হোক, বাংলাকে আমি বাঁচাবই। শনিবার ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের দাবি তুলেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচর্যও।