কলকাতা: ভোটের দিন কোনও ভোটকর্মী বুথ ছেড়ে পালালে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করার কথা বলেছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তবে রাতে সুর বদল কমিশনের। জানানো হল, ক্ষতিগ্রস্ত ভোটকর্মীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
দিনভর গুলি-বোমা রক্তপাতের মধ্যে দিয়েই চললো তেইশের পঞ্চায়েত ভোট। রাজ্যের হিংসার হানাহানিতে বলি ১৭। যদিও শনিবার দুপুর পর্যন্ত কমিশন জানিয়েছিল হানাহানির ঘটনায় তাদের কাছে ৮ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, শনিবার ৫টা পর্যন্ত রাজ্যে ভোটের হার ৬৬.২৮ শতাংশ। দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটের হার ছিল ২২ শতাংশের আশেপাশে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | ভোট মিটতেই জেলায় জেলায় শুরু ভোট পরবর্তী হিংসা
এদিকে ভোট নিয়ে কমিশনের কাছে ভূরিভূরি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে খবর। কয়েক হাজার অভিযোগ এসেছে। সমস্ত অভিযোগই খতিয়ে দেখছে কমিশন। অভিযোগ নিষ্পত্তি করার হার প্রায় ৮০ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, ভোটের কারণে যে সমস্ত ভোটকর্মীদের ক্ষতি হয়েছে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
লাগাম ছাড়া হিংসা জারি ছিল ভোটের দিনেও। ভোটের আগের রাত থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে অশান্তি। কোথাও আবার রাত ২টোয় ভোট হয়ে গিয়েছে বলে বুথে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বোমা-গুলি-ভোট লুঠ। আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। জেলায় জেলায় বুথে বুথে রীতিমতো লুঠ চলেছে। ব্যলট পেপার লুঠ করা হয়েছে প্রকাশ্যে। বুথে ঢুকে চলছে দেদারে ছাপ্পা ভোট। কোথাও কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী এমনকী রাজ্য পুলিশের দেখাও মেলেনি। এমন অবস্থায় নিরাপত্তার অভাবে ভুগছিলেন প্রিসাইডিং অফিসারেরা। কোথাও আবার কক্ষের ভিতরেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় পোলিং অফিসারকে।