ওগো লুচি তোমার মান্য ত্রিভুবনে। সেই সঙ্গে লুচির জ্ঞাতি ভাই-বোনদের খ্যাতি-ও নেহাত কম নয়। লুচির এমনই এক জ্ঞাতিভাই হল, রাধাবল্লভী। যা একসময় বিয়ে বা যে কোনও বড় অনুষ্ঠানে নিয়মিত ওপেনার ছিল। আজ নান ইত্যাদির ভিড়ে একটু অনিয়মিত হয়ে গেলেও জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি এতটুকু।
কলকাতার বইপাড়া অঞ্চলে বিখ্যাত মিষ্টির দোকান পুঁটিরাম। আজও পুঁটিরামের বাইরে কার্যত লাইন দিতে দেখা যায় রাধাবল্লভীর প্রত্যাশী বঙ্গসন্তানদের। রাধাবল্লভীর জন্য কলকাতার সবথেকে প্রসিদ্ধ দোকান এই পুঁটিরাম-ই।
আরও পড়ুন: Mole Facts | শরীরের কোথায় তিল থাকলে কী হয় জানেন?
এই রাধাবল্লভীর নামকরণও হয়েছে মহাপ্রভুর আরাধ্য দেবতার নাম থেকে। শ্রীকৃষ্ণের আরেক নাম রাধাবল্লভ। সেই থেকে এই সুস্বাদু খাবারটির নামকরণ। তবে কেন এই নামকরণ, তার নেপথ্যে একটি নয় বরং তিনটি আলাদা আলাদা কাহিনী রয়েছে।
একটি মত অনুসারে, খড়দহে প্রতিষ্ঠিত শ্যামসুন্দরের জন্য চৈতন্যদেব স্বয়ং এই খাবারটির উদ্ভাবন করেন। অন্য মতে, মুর্শিদাবাদের কান্দি গ্রামের জমিদাররা তাদের কুলদেবতা রাধাবল্লভকে এই খাবারটি ভোগ হিসেবে দিতেন। সেই কারণেই এর নাম, রাধাবল্লভী। আর শেষ মতটি বলে, কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়ির গৃহদেবতা রাধাবল্লভকে এই পদটি ভোগ দেওয়া হত।
যদিও রাধাবল্লভীর উৎপত্তি বাংলায় কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। প্রাচীন শাস্ত্রে যদিও এই খাবারটির উল্লেখ পাওয়া যায় না। তবে সংস্কৃতে এর নাম দেওয়া হয়েছে, বেষ্টনিকা। দ্রব্যগুণের কারণে এহেন নামকরণ।