শনিবার পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে অশান্তির দায় বিরোধীদের ঘাড়ে চাপাল শাসকদল তৃণমূল। একই সঙ্গে তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। শাসকদলের নেতাদের দাবি, ১৩-১৪টি জেলায় কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে।
রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ৬১ হাজারেরও বেশি বুথের মধ্যে বড় জোর ৬০টি বুথে কিছু ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ছয়-সাতটি বড় ঘটনা। তিনি বলেন, শতাংশের হিসেব আপনারা সাংবাদিকরা করে নেবেন। যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে নিহতদের মধ্যে ৬০ শতাংশই তৃণমূলের নেতা, সমর্থক।
শশী বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার কথা বিরোধীরাই বলেছিল। ভোটে তাদের উপস্থিতি, অনুপস্থিতি সবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকের ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকাও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি, আইএসএফ রাজ্যে শান্তিপূর্ণ ভোট হয় না, এটা বোঝাতে যা খুশি, তাই করেছে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | বুথ পরিদর্শনে যেতে গিয়ে আক্রান্ত অশোকনগর পুরসভার চেয়ারম্যান
সাংবাদিক বৈঠক উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কুণালও বলেন, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ পরিকল্পিত চক্রান্ত করছে। বাংলার সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলার জন্য এসব করছে। ৬১ হাজারেরও বেশি বুথের মধ্যে আট-নয়টি বড় ঘটনা, গোটা ষাটেক ছোট মাঝারি ঘটনা ঘটেছে। তাঁর দাবি, কিছু বিচ্ছিন্ন মৃত্যু, কিছু অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। সেগুলির পিছনেও বিরোধীদের চক্রান্ত ছিল। আজ কয়েকটি ঘটনা ছাড়া উতসবের মেজাজে ভোট হয়েছে। তিনি বলেন, বাম জমানায় কী হয়েছিল। লোকসভা ভোটে সারা দেশে কত লোক মারা যায়।
ব্রাত্যর মুখেও একই কথা শোনা গেল। তিনিও বলেন, বিরোধী চার দল একত্রিত হয়েছে। তাদের অভিভাবক হয়েছেন মহামান্য রাজ্যপাল। সবাই মিলে গরিব দরদী এই সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। আজ আমরাই আক্রান্ত হয়েছি, আমাদের লোকেরা বেশি মারা গিয়েছে। আমরা ঠান্ডা মাথায় ভোট করতে চেয়েছি।