কলকাতা: শনিবারের পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote ) ব্যাপক অশান্তির এক যোগে বিরোধীরা দায়ী করল নির্বাচন কমিশনকে (State Election Commission)। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীদের গলায় ছিল এক সুর। তাঁদের মূল বক্তব্য, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার অপদার্থতার জন্য এদিন হিংসার ভোট হয়েছে। শুভেন্দু আবার একধাপ এগিয়ে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবি জানান। সন্ধ্যায় তিনি কমিশনের দফতর ঘেরাওয়েরও ডাক দেন। এদিন দুপুরেই তিনি কমিশনারকে ফোন করে বলেন, আপনি আর কত রক্ত চান। সন্ধ্যায় আমি আসছি আপনার দফতরে তালা ঝোলাতে।
এদিন সন্ধ্যায় রাজ্য বামফ্রন্ট মিছিল করে কমিশন দফতরে আসে। মিছিলে বামফ্রন্টের বিভিন্ন শরিক দলের শীর্ষ নেতারা হাজির ছিলেন। পরে ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত ভোটকে প্রহসনে পরিণত করেছে। এদিন যেসব বুথে গোলমাল হয়েছে, ব্যালট বাক্স ছিনতাই হয়েছে, সেই সব বুথে ফের ভোটের দাবি জানান তিনি। বিমান বলেন, নির্বাচন কমিশনার বধির। তিনি চোখে দেখেন না, কানে শোনেন না। গ্রাম বাংলার বাস্তব চিত্র সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণা নেই।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | বহু জেলায় বুথ থেকে ব্যালট বাক্স পুকুরে
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যখন পঞ্চায়েত ভোটের দিন অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তখন কমিশনার তাঁর দফতরে বসে জানান. তাঁর কাছে মাত্র তিনজনের মৃত্যুর খবর রয়েছে। ফ্রন্ট চেয়ারম্যান তার উল্লেখ করে বলেন, কমিশনার অজ্ঞ। তিনি যা বলেছেন, সে কথার কোনও গুরুত্ব নেই। অজ্ঞতা কখনও আশীর্বাদ হতে পারে না। বিমান বলেন, অযোগ্য হলে তাঁর অনেক অজুহাত থাকে। সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও এদিন সন্ধ্যায় কমিশন দফতরে যায়।
বহরমপুরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন, মুখ্যমন্ত্রী, শাসকদল এবং তার দলদাস পুলিশ মিলে পঞ্চায়েত ভোটকে চরম প্রহসনে পরিণত করেছে। এই নির্বাচনের কী দরকার ছিল, জানি না। আজকেই তো ভোটের ফলও প্রকাশ করতে পারত কমিশন। তাঁর অভিযোগ, কমিশন এবং রাজ্য সরকার আদালতের সব নির্দেশকেই বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। আজ গণতন্ত্রকে হত্যা করা হল।