মুর্শিদাবাদ: এবার তৃণমূল প্রার্থীদের (TMC) গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ও ইট ছোঁড়ার ঘটনা উঠে আসে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়ার সদানন্দপুর এলাকা থেকে। অভিযোগে, জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী জিল্লার রহমান সহ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমুল প্রার্থী মীর আলমগীরের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ও ইট ছোঁড়ে সিপিএমের দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মীর আলমগীরের গাড়ি চালক। ভাঙচুর করা হয়েছে দুটি গাড়ি। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই গাড়ির চালককে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়।
শনিবার সকাল থেকে জেলায় জেলায় ভোট গ্রহণ। ভোট গ্রহন শুরু হতেই দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে রাজ্যের বেশকিছু জেলা। মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনায় থেকে অবিরাম সন্ত্রাস, বোমাবাজি, বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ আসছে। এ পর্যন্ত অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এরপর পড়ে রয়েছে গোটা দিন। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র আগুন জ্বলছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিরোধী দলগুলি সম্মিলিত শক্তিতে তাদের উপর আছড়ে পড়ছে। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলি শাসকের বিরুদ্ধে পুলিশি মদতে সন্ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ এনেছে।
অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে নির্দেশ দিয়েছিল। রাজ্যে ইতিমধ্যে বাহিনীও এসে গিয়েছে। কিন্তু বুথে বুথে চিত্রটাই অন্য। কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী, কোনও বুথে রাজ্য পুলিশের একদুজন কর্মী, আবার কোথায় সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে হচ্ছে ভোট। নন্দীগ্রামে তো আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে গ্রামবাসীরা বীরভূমে নিরাপত্তার যা ছবি উঠে এসেছে, তাতে দেখা গিয়ে ভয়ে মহিলা পিসাইডিং অফিসার কেঁদেই ফেলেন।