এই মুহূর্তে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৫টা ৩০ মিনিট নাগাদ দিল্লি পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠক আছে। এবারে ৩ দিনের দিল্লি সফর করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন মমতা। তাঁর সফর সঙ্গী হয়েছিলেন মুকুল রায়। দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও সেখানে গিয়ে তিনি কোথায় থাকবেন, তা এখনও জানা যায়নি। এক সূত্র মারফত খবর মিলেছে যে, মুকুল রায়ের বাড়ি সেজে উঠেছে তৃণমূলের ফেস্টুনে। যে ফেস্টুনে এক দিকে দেখা যাচ্ছে একদিকে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি এবং অপর দিকে রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।
আরও পড়ুন : মমতার দিল্লি সফরের আগেই তৃণমূলকে বন্ধুত্বের বার্তা কংগ্রেসের
এই সফরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সফরসঙ্গী হয়েছেন মুকুল রায়। তার আগেই সোমবারই দিল্লি পৌঁছন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সংসদ ভবনে দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠকও করেন। দলনেত্রী দিল্লি পৌঁছনোর পর অন্য বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে দলীয় কর্মীদের আর কী বার্তা দেন তিনি, সেটাই এখন দেখার। ২০২৪’কেই পাখির চোখ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। কেন্দ্র থেকে মোদি সরকারকে হঠাতে আগামী দিনের রণকৌশল এখন থেকেই ঠিক করতে উদ্যোগী তিনি। কলকাতার ২১ জুলাই সভামঞ্চ থেকেই সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন মমতা। তার সেদিনের সেই ভার্চুয়াল সভাতে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রথম সারির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দেশে মূল্যয়বৃদ্ধি , পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে বিপর্যস্ত মোদি সরকার। তারই মধ্যে পেগাসাস ইস্যুতে বিরোধীরা চেপে ধরেছে মোদি সরকারকে। দিল্লিতে বাদল অধিবেশন শুরু হতেই প্রথম দিন থেকেই আন্দোলন করেন তৃণমূলের সাংসদরা। পেট্রোপণ্যের মূল্যয়বৃদ্ধির প্রতিবাদে সাইকেল চালিয়ে সংসদ ভবন যান তাঁরা। তারপর দিন গান্ধীমূর্তির সামনে পেগাসাস ইস্যু নিয়েও বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে মমতার আগমন তৃণমূলের আন্দোলনে এক নতুন মাত্রা আনবে বলে মনে করছেন অনেকেই। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং পেগাসাসের মাধ্যমে হ্যাকিংকাণ্ড, সেই অস্ত্র গুলিতেই শান দিতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দিল্লি সফর কতটা কার্যকরী হয়, সেটাই এখন রাজনৈতিক মহলের প্রধান লক্ষ্য।