মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad ) ভরতপুর থানার আমলাই গ্রামের ৭০ নম্বর বুথে শাসকদল ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ। কংগ্রেস (Congress) সহ বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, সকাল থেকে ভোটারদের প্রভাবিত করার পাশাপাশি দুপুরের পর বুথ দখল করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। দুপক্ষের সংঘর্ষে ভোট কেন্দ্রে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ দুদলের কর্মী সমর্থকার লাঠিশোটা নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা চালায়। আচমকাই পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ভোটারাও। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
শনিবার সকাল থেকে জেলায় জেলায় ভোট গ্রহণ। ভোট গ্রহন শুরু হতেই দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে রাজ্যের বেশকিছু জেলা। মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনায় থেকে অবিরাম সন্ত্রাস, বোমাবাজি, বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ আসছে। এ পর্যন্ত অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এরপর পড়ে রয়েছে গোটা দিন। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র আগুন জ্বলছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিরোধী দলগুলি সম্মিলিত শক্তিতে তাদের উপর আছড়ে পড়ছে। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলি শাসকের বিরুদ্ধে পুলিশি মদতে সন্ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ এনেছে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | Basirhat | বসিরহাটে এসপি অফিস ঘেরাও বিজেপির
অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে নির্দেশ দিয়েছিল। রাজ্যে ইতিমধ্যে বাহিনীও এসে গিয়েছে। কিন্তু বুথে বুথে চিত্রটাই অন্য। কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী, কোনও বুথে রাজ্য পুলিশের একদুজন কর্মী, আবার কোথায় সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে হচ্ছে ভোট। নন্দীগ্রামে তো আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে গ্রামবাসীরা বীরভূমে নিরাপত্তার যা ছবি উঠে এসেছে, তাতে দেখা গিয়ে ভয়ে মহিলা পিসাইডিং অফিসার কেঁদেই ফেলেন।