মুম্বই: মহারাষ্ট্রে রাজনীতির চিত্রনাট্যে ঘন ঘন পট পরিবর্তন হচ্ছে। এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার মহারাষ্ট্রের শিন্ডে-শিবসেনা সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও এনসিপির দুই গোষ্ঠীর লড়াই চলছেই। এর মধ্যোই শরদ গোষ্ঠীর রাজ্য সভাপতি জয়ন্ত পাতিল (NCP State President Jayant Patil) শুক্রবার দাবি করেছেন, এনসিপির ১৯ বিধায়ক শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) সঙ্গে আছেন। অজিত পাওয়ারের অনুগামী আরও ছয় বিধায়ক শরদ পাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। জয়ন্তর আরও দাবি, ওই বিধায়করা অজিত শিবির ছেড়ে শরদ শিবিরে ভিড়তে চান। তিনি বলেন, যাঁরা ফিরতে চান তাদের সকলকে স্বাগত।
অন্যদিকে অজিত পাওয়ারের দাবি, তাঁর সঙ্গে এনসিপির ৫২ জন বিধায়ক রয়েছেন। গত বুধবার মুম্বইয়ের ওয়াইবি চ্যবন অডিটোরিয়ামে দলের প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর বৈঠকে মোট ১৩ জন বিধায়ক,৩ জন এমএলসি এবং ৫ জন সাংসদ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে অজিত গোষ্ঠীও বৈঠক করে।সেখানে অবশ্য শরদ গোষ্ঠীর তুলনায় অনেক বেশি বিধায়ক হাজির ছিলেন।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের বাড়িতে বৈঠক হয় বিজেপির উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের। দুজনের ওই বৈঠক ঘিরে মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। শরদ পাওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি ভেঙে অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী মারাঠা সরকারে যোগ দেওয়ার পর থেকেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। সে ব্যাপারেই আলোচনা করতে অনেক রাতে মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের সরকারি বাসভবন বর্ষায় আসেন ফড়নবিশ। এমনটাই শিন্ডে শিবির সূত্রের খবর। ৯ বিক্ষুব্ধ এনসিপি বিধায়কের মন্ত্রিসভায় যোগদান এবং তাঁর সঙ্গে ৩৬ জন এনসিপি বিধায়ক থাকার যে দাবি অজিত করেছেন, তা সত্যি হলে শিন্ডে গোষ্ঠীর ১৪ জনের মন্ত্রী হওয়া অনিশ্চিত। মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় মোট ৪৩ জন ঠাঁই পেতে পারেন। যার মধ্যে ২৩টি দফতরই রবিবার পর্যন্ত শূন্য ছিল। জানা ছিল, এর মধ্যে আরও ১১টি দফতর শিন্ডে গোষ্ঠীর হাতে যাবে। সমবণ্টন নীতিতে সেই কথাই বলে।