মুর্শিদাবাদ: পঞ্চায়েত ভোট এখনই বন্ধ করার দাবি তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে অধীরের এই দাবি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। শুক্রবার বহরমপুরে কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে অধীর বলেন, এই মুহূর্তে আদালতের পঞ্চায়েত ভোট বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এদিনই মুর্শিদাবাদের রানিনগরে (Raninagar in Murshidabad) এক কংগ্রেস কর্মী খুন হন। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকে এদিন পর্যন্ত ৩০ দিনে রাজনৈতিক হিংসায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু মুর্শিদাবাদ জেলাতেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পঞ্চায়েত ভোটকে প্রহসনে পরিণত করছেন। পুলিশ এবং প্রশাসনের অধিকাংশ কর্তা পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলকে জেতানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন জেলায় বিরোধী প্রার্থীদের ভোটের একদিন আগেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই কাজে পুলিশ এবং প্রশাসনের অফিসারদেরও কাজে লাগানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে কংগ্রেস নেতার প্রশ্ন, আর কত রক্ত পেলে আপনার তৃষ্ণা মিটবে।
আরও পড়ুন: RBU NEW VC | হিংসা বরদাস্ত নয়, দায়িত্ব নিয়ে বললেন রবীন্দ্রভারতীর নয়া উপাচার্য
এদিনই মুর্শিদাবাদে গিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি খড়গ্রামে নিহত কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখের বাড়িতে যান। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। পরে রাজ্যপাল নবগ্রামে নিহত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতেও যান। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের দিনই খড়গ্রামে খুন হন ফুলচাঁদ। এদিন তাঁর পরিবারের সদস্যরা রাজ্যপালের কাছে ওই খুনের সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি করেন। জেলার আরও কয়েকটি হিংসাদীর্ণ এলাকায়ও যাওয়ার কথা রাজ্যপালের। বিকেলেই তিনি কলকাতায় ফিরবেন।
বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজধর্ম পালনে ব্যর্থ। কমিশনারের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, মিস্টার কমিশনার, আপনার হাতে রক্ত লেগে আছে। এখনও সময় আছে। আপনি অ্যাকশন নিন। মানুষের আর্জি শুনুন। আমি জেলায় জেলায় গিয়ে মানুষের কান্না শুনেছি, অভিযোগ শুনেছি। আপনি গ্রাউন্ড জিরোতে যান। রাজ্যপাল আরও বলেন, আমিই আপনাকে নিয়োগ করেছিলাম। এখন দেখছি, আপনি রাজ্যবাসীকে হতাশ করেছেন। পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote ) ঘিরে এত হিংসা, এত মৃত্যুর দায় আপনাকে নিতে হবে। মানুষের জীবন নিয়ে, আগুন নিয়ে খেলা হচ্ছে। এই হিংসা আমি আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে রুখব।