সালার: ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ( Humayun Kabir)-সহ বেসুরো নেতা-কর্মীদের বহিষ্কারের চরম হুঁশিয়ারি দিল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote ) প্রচারের শেষ দিনে জেলা তৃণমূল দফতরে দলের সভাপতি শাওনি সিংহরায় বলেন, যাঁরা এখনও দলের বিরুদ্ধে প্রচার করছেন কিংবা নির্দলের হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন, ভোটের পর তাঁদের বরখাস্ত করা হবে। ওই নেতাদের অবিলম্বে নির্দলদের সমর্থন করা থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। এদিন শাওনির সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার-সহ অন্য নেতারা।
এদিকে শেষ দিনেও সালারে নির্দল প্রার্থীদের হয়ে প্রচার চালান ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এদিন দুপুরে সালার বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে হুমায়ুনের নেতৃত্ব বিশাল মিছিল বেরয় নির্দল প্রার্থীদের সমর্থনে। বিধায়ক ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে এক চুলও সরবেন না তিনি। তাতে যা হওয়ার, হবে। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ আজহারউদ্দিন ৬২ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। জেলার রাজনীতিতে তিনি বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। কেউ বাস, কেউ নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আজহারউদ্দিন বলেন, এই নির্বাচন সালার বাঁচানোর নির্বাচন। তাই এখানকার মানুষ আমাদের সমর্থনে সাড়া দিচ্ছেন। তোলাবাজ, দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। স্থানীয় মানুষের দাবি মেনে আমরা হুমায়ুন কবীরের নির্দেশে ভোটে লড়াই করছি। এখানে তিন স্তরের সব আসনে নির্দল প্রার্থীরা জিতবেন বলে আমাদের আশা।
আরও পড়ুন: Amartya Sen | Visva-Bharati University| অমর্ত্যকে পরিযায়ী ও পরিব্রাজক বলে কটাক্ষ বিশ্বভারতীর
অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরে এদিন দলবিরোধী কাজ করার অভিযোগে আরও ২০জনকে বহিষ্কার করল জেলা তৃণমূল। কোলাঘাট, মহিষাদল এবং পাঁশকুড়ার নেতাদের বহিষ্কার করা হল বলে জানান জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। এর আগে তমলুক সাংগঠনিক জেলার ৪৩জনকে দল বহিষ্কার করে নির্দলদের সমর্থন করার অপরাধে। পরে নন্দীগ্রাম এবং নন্দকুমার এলাকার আটজন ভুল স্বীকার করায় তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়া হয়। জেলা সভাপতির দাবি, ওই ২০জনের বহিষ্কারের কোনও প্রভাব শনিবারের পঞ্চায়েত ভোটে পড়বে না।