বোলপুর: বুথের ভিতর খেলা হবে, কোথায়, কখন, কোন খেলাটা খেলতে হবে, সবটাই আমরা জানি। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা প্রলয় নায়েকের। বৃহস্পতিবার ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের শেষ দিন। এদিন সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এবং নেতারা প্রচার সারছেন। সেইমতো বীরভূমের নানুর বিধানসভার বোলপুর ব্লকের কসবা অঞ্চলে তৃণমূলের প্রচার চলছিল। সেখানেই মঞ্চে মন্তব্য করতে গিয়ে ওই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ বলেন, খেলা হবে। খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদি কেউ খেলতে আসে, খেলা হবে। কোন অঞ্চলে, কোন বুথে, কোন পাড়ায়, কোন গ্রামে, কোন খেলাটা দরকার আমরা জানি। আমরা ডাংগুলি, চুকিতকিত সব খেলাই জানি। অন্য কারও দলের কাছে শিখতে হবে না।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ একটি সরকারি পদ। এই পদে নিয়োগ করে থাকেন স্বয়ং রাজ্যপাল। খুব স্বাভাবিকভাবেই একজন প্রাথমিক সংসদের সভাপতি এ ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্যের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীরা মতে, জেলা প্রাথমিক সংসদের সভাপতি চেয়ারটা অত্যন্ত সম্মানজনক। এটা কোনও রাজনৈতিক পদ নয়। তৃণমূলের পক্ষেই এ ধরনের সম্মানীয় পদকে কলুষিত করা সম্ভব।
এদিকে ভোট পর্বে এদিন সকালেই মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে ২ জনের মৃত্যু হয়। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা এলাকায় বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু হয় কামাল শেখ নামে এক ব্যক্তির। অন্যদিকে বীরভূমের মহম্মদবাজার এলাকাতে নির্দল প্রার্থীর স্বামী ততা বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি গুলির খোল উদ্ধার হয়। অভিযোগের তি এলাকার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। যদিও এ ব্যাপারে তৃমমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে সন্ত্রাসের মাত্রা। বোমা-গুলি সহ বাড়ছে মৃতের সংখ্য়া। প্রথম থেকেই হিংসার ঘটনায় সরব হন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি একাধিকবার জানিয়েছেন, কোনও ভাবে রাজ্যে হিংসা বরদাস্ত নয়। তারপরেও এই ছবি রাজ্যজুড়ে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের দিন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।