বোলপুর: হিন্দুরাষ্ট্রের পথ প্রশস্ত করার লক্ষ্যেই কেন্দ্র অভিন্ন দেওয়ানি বিধির কথা বলছে বলে অভিযোগ করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন৷ তিনি বলেন, ইউনিফর্ম সিভিল কোড (Uniform Civil Code) নিয়ে আমরা হাজার বছর ধরে আছি, এটা নতুন কিছু নয়। এর পিছনে কোনও ধাপ্পা আছে। এটা চালু করার জন্য কাদের লাভ হবে, সেটা ভাবতে হবে। তাঁর মতে, হিন্দুরাষ্ট্র একমাত্র উপায় নয়৷ হিন্দু ধর্মের অপব্যবহার করা হচ্ছে৷ বুধবার প্রতীচী বাড়িতে গিয়ে অধ্যাপক সেনের (Amartya Sen) সঙ্গে দেখা করেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। তাদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গেই নোবেলজয়ী ওই মন্তব্য করেন। বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশও করেন অমর্ত্য সেন।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর (Bidyut Chakraborty) সময়কালে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা, বসন্তোৎসব। মাঠে উঠেছে প্রাচীর৷ প্রতিবাদ করলেই পড়ুয়া থেকে অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, কর্মী, আধিকারিকদের সাসপেণ্ড করা হয়েছে। এই অভিযোগও রয়েছে ভূরি ভূরি। অন্যদিকে, কয়েক বছরের এনআইআরএফ র্যা ঙ্কিং মান কমেছে বিশ্বভারতীর। এছাড়া, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে ‘জমি কব্জাকারী’ বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।
আরও পড়ুন: CWC 2023 | বিশ্বকাপে নেই জিম্বাবোয়ে, ভারতের টিকিট পাওয়ার লড়াই দুই ইউরোপের দেশের
এদিন শান্তিনিকেতনের ‘প্রতীচী’ বাড়িতে গিয়ে অধ্যাপক সেনের সঙ্গে দেখা করেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা৷ পড়ুয়ারা জানান জমি বিতর্কে তারা অধ্যাপক সেনের পাশে আছে। এছাড়া, বিশ্বভারতীর বর্তমান পরিস্থিতি থেকে নিষ্কৃতি পেতে অমর্ত্য সেনের পরামর্শ চান পড়ুয়ারা৷ প্রায় ৪০ মিনিট পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন অধ্যাপক সেন৷ সইউনিফর্ম সিভিল কোড লাগু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেন, আমাদের মধ্যে নানা রকম পার্থক্য থাকে, ধর্মীয় পার্থক্য থাকতে পারে৷ নিয়ম-কানুন মানার পার্থক্য থাকতে পারে। সেগুলো বাদ দিয়েই সবাইকে এক করা দরকার। একটা কাগজে দেখলাম লিখেছে ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে আর দেরি করা যায় না৷ এই রকম মুর্খ কথা কোথা থেকে এল।