দেগঙ্গা: দেগঙ্গায় বোমাবাজিতে ছাত্রে মৃত্যু, পরিবারের সঙ্গে ফোন কথা বললেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। মৃত ছাত্রের বাবা এমদাদুল হক জানিয়েছেন রাজ্যপাল তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। অন্যদিকে এই ঘটনার জেরে যে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁদের দাবি মিথ্যা অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করেছে,বাড়ি থেকে পুলিশ তুলে এনেছে। তার মধ্যে সোহাই সেতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আইএসএফ সিপিএম প্রার্থী রয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। তবে মঙ্গলবারের ঘটনার জেরে এখনও উত্তপ্ত এলাকায়। মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। উল্লেখ্য কাল সকাল ১০ তার মধ্যে রাজ্যনির্বাচন কমিশন জেলাশাসকের কাছে এই ঘটনা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট তলব করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১১ টার সময় মিছিল সেরে গ্রামে ফিরছিলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। ওই মিছিলেই উপস্থিত হয়েছিল তৃণমূল ছাত্র সমর্থক ১৮ বছরের ইমরান। আবার ওই একেই সময় চলছিল বাং ও আইএসএফের মিছিল। অভিযোগ সেই সময়ই আইএসএফের মিছিল থেকে তৃণমূল কমীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। সেটা গিয়ে লাগে ইমরানের গায়ে। তারপরেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পরে সে। বিস্ফোরণের জেরে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। তড়িঘড়ি করে ওই বালককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন: Panchayat Election | ফের ভাঙন তৃণমূলের, বীরভূমে যোগদান ৩০০ পরিবারের
ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গতকাল রাতেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়াও ওইদিন সকালের বোমাবাজি ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তাদের বারাসাত আদালতে তোলা হয়েছে। এই ঘটনায় শাসকদলের তরফে সিপিএম এবং আইএসএফ-এর দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। তবে আইএসএফ ও সিপিএমের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, শাসকদল ভোটে হেরে যাবার আশঙ্কায় ফাঁসিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই দেগঙ্গা থানার একাধিক জায়গায় তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএম ও আইএসএফের সংঘর্ষ বাধে। ঘটনার জেরে নামানো হয় র্যাফও। স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার পরেই, পাল্টা হামলা চলে সিপিআইএম, আইএসএফ কর্মীদের বাড়িতেও বলে জানা গিয়েছে ৷ গোটা ঘটনার তদন্তে দেগঙ্গা থানার পুলিশ পাশাপাশি স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায়।