কিভ: ইউক্রেনের পুরস্কার প্রাপ্ত লেখিকার মৃত্যু হল রাশিয়ার মিসাইল আক্রমণে। পূর্ব ইউক্রেনের জনপ্রিয় রেষ্টুরেন্টে মিসাইল হামলা (Russian Missile Attack) হয়েছিল। আরও অন্যান্য ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে ওই ঘটনায়। ফুল দিয়ে চোখের জলে মঙ্গলবার তাঁকে শেষ বিদায় জানাতে হাজির হয়েছিলেন অনেকে। ভিক্টোরিয়া অ্যামেলিনার (Victoria Amelina) (৩৭) জন্য স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কিভে (Kyiv) সেইন্টস মাইকেল ক্যাথিড্রালে (Saint-Michael’s Cathedral) এই স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। সাধারণত সেখানে মৃত সৈনিকদের জন্য স্মরণসভা করা হয়। গত জুন মাসের ২৭ তারিখ ক্রমাতোর্সক শহরের ওই রেস্তরাঁয় (Restaurant) মিসাইল হানায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি। এখানে আমরা প্রিয়জনকে শেষ বিদায় জানাতে হাজির হই- এমনই জানান সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ।
লেখক সমাজের মানুষজন সহ ১০০ জনের বেশি মানুষ সেখানে তাঁকে চার্চে শেষ শ্রদ্ধা জানান। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের মতে, সাহিত্য থেকে রাশিয়ার যুদ্ধপরাধে ডকুমেন্টারি করছিলেন ওই লেখিকা। অনেকেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। বুধবার অ্যামেলিনার শহর এলভিভে শেষ কৃত্যের আয়োজন করা হয়েছে। দিমাইট্রো কোভালচুক (Dmytro Kovalchuk) (৩১) অ্যামেলিনার সঙ্গে ডিনার করছিলেন। সেসময় ওই বিল্ডিংয়ে মিসাইল হানা হয়। তিনি বলেন, অ্যামেলিনাকে প্রথম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাদ ভেঙে পড়লে তিনি গুরুতর জখম হন। একটি লোহা তাঁর মাথায় আঘাত করে। ভিক্টোরিয়া তাঁর আসনেই বসেছিলেন। দেখে মনে হচ্ছিল তিনি সুস্থ আছেন। কিন্তু তাঁর নাম ধরে ডাকলেও তিনি কোনও জবাব দিচ্ছিলেন না। তিনি জানান, অ্যামেলিনার সঙ্গে কাজ করতে পারা সম্মানের। তিনি বিনয়ী ও দয়ালু স্বভাবের মানুষ ছিলেন।
আরও পড়ুন: Maharashtra NCP Crisis | কার সঙ্গে কত সংখ্যক বিধায়ক তা প্রমাণের মহা বৈঠক আজ মুম্বইয়ে
ভিক্টোরিয়া অ্যামেলিনাকে নিয়ে ইউক্রেনে (Ukraine) যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ৬০ জন শিল্পীর মৃত্যু হল। টেটিয়ানা টেরেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, কীভাবে তিনি এই যুদ্ধে দেশকে সাহায়্য করবেন তা নিয়ে ভাবতেন। তিনি নিজের মতো করে তা করে গিয়েছেন। অ্যামেলিনা ১৯৮৬ সালে এলভিভে জন্ম গ্রহণ করেন। ২০১৪ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয়। যার নাম ছিল দ্য নভেম্বর সিনড্রোম। যা ইউক্রেনের ভ্যালেরি শেবচুক পুরস্কারের জন্য বাছাই হয়েছিল। শিশুদের জন্য দুটি বই লিখেছিলেন। ২০১৭ সালে তাঁর উপন্যাস ডমস ড্রিম কিংডম জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে পুরস্কৃত হয়। যা ইউনেস্কো সিটি অফ লিটারেচার প্রাইজ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রাইজ ফর লিটারেচারে ভূষিত হয়। তাঁর বই একাধিক আন্তর্জাতিক ভাষায় অনুবাদ হয়েছে।