ভোপাল: মদ্যপ অবস্থায় এক আদিবাসী যুবকের মুখে প্রস্রাব (Peeing Case) করার অভিযোগ উঠল এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। সিসিটিভি ক্যামেরাতে গোটা ঘটনাই ধরা পড়েছে। ঘটনাটিতে ঘটেছে মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh)। প্রবেশ শুক্লা নামক ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় রাস্তার ধারে বসে থাকা অপর এক ব্যক্তির গায়ে প্রস্রাব করে দেন। মঙ্গলবার রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে শুক্লাকে মাটিতে বসে থাকা এক আদিবাসী ব্যক্তির উপর প্রস্রাব করছে, সেই সময় তার হাতে জ্বলন্ত সিগারেট রয়েছে সেটাও দেখা গিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির নিতে নির্দেশ দেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইন বা ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে অধীনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে, একটি দোকানের সিঁড়িতে বসে রয়েছেন আদিবাসী এক যুবক। প্রবেশ শুক্লা নামক ওই ব্যক্তি টলতে টলতে আসছেন। মদ্যপ অবস্থায় তিনি রাস্তার ধারে এক ব্য়ক্তির সামনে এসে দাঁড়ান, তাঁর হাতে সিগারেট ধরা ছিল। রাস্তার ধারে বসেছিলেন দশমত রাভাত নামক এক ৩৬ বছর বয়সী ব্যক্তি। তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে প্যান্টের চেন খুলে তাঁর মুখে প্রস্রাব করতে থাকেন অভিযুক্ত প্রাবেশ শুক্ল।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত শুক্লা গ্রেফতারি এড়াতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। এরপরই পুলিশের জালে ধরা পড়ে শুক্লা এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন, এসসি/এসটি আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির অন্যান্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে শুক্লার স্ত্রী ও বাবা-মাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কারাউন্ডের ৩৬ বছর বয়সী দশমত রাভাতের শিকার, পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হলে ভাইরাল ভিডিওটিকে জাল বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: Ajit Agarkar | BCCI | বিরাট কোহলিদের নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগরকর
मेरे संज्ञान में सीधी जिले का एक वायरल वीडियो आया है…
मैंने प्रशासन को निर्देश दिए हैं कि अपराधी को गिरफ्तार कर कड़ी से कड़ी कार्रवाई कर एनएसए भी लगाया जाए।
— Shivraj Singh Chouhan (@ChouhanShivraj) July 4, 2023
রাভাত একটি হলফনামা তৈরি করেছিলেন যে ভিডিওটি জাল এবং শুক্লাকে একটি মিথ্যা মামলায় ফাঁস করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। সূত্র বলছে যে হলফনামাটি জোর করে তৈরি করা হয়েছিল এবং এখনও কোনও কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়নি। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরই রাজ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। প্রশ্ন উঠছে সে রাজ্যের আদিবাসীদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল। আদিবাসীদের বিরোধী বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করুন, বার্তা রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বীরবাহা হাঁসদার (Birbaha Hansda)। ক্ষমতাসীন বিজেপি সঙ্গে শুক্লার যোগসূত্র রয়েছে। তিনি বিজেপি বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লর প্রতিনিধি জানা গিয়েছে। এই ঘটনা বিরোধীদের কিছুটা অক্সিজেন জুগিয়েছে ভোটের আগে। বিজেপি আদিবাসীর বিরোধী এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলতে পারে বিরোধীরা। এই ঘটনা কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়িয়েছে বিজেপির। কংগ্রেস দাবি করেছে, যে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে তার থেকে এটা স্পষ্ট মধ্যপ্রদেশে আদিবাসীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার একটি বৃহত্তর সমস্যার লক্ষণ। মন্ত্রী কমলনাথ এই ঘটনা গোটা মধ্যপ্রদেশকে লজ্জায় ফেলেছে….কঠোরতম শাস্তি দোষী দেওয়া উচিত। মধ্যপ্রদেশের আদিবাসীদের উপর অত্যাচার বন্ধ করা উচিত। আদিবাসী সম্প্রদায়ের যুবকদের সঙ্গে এমন জঘন্য কাজের সভ্য সমাজে কোনও স্থান নেই”।