ইসলামপুর: রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে তুলে এনে কংগ্রেস প্রার্থীর দেওরকে আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ। সোমবার রাতে ইসলামপুর থানার সামনে বিক্ষোভে ইসলামপুর-রঘুনাথপুরের কংগ্রেস কর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে রঘুনাথপুরের কংগ্রেস প্রার্থী রেনুকা বিবি সহ আরও ৬ জন প্রার্থী তাঁদের সমর্থকদের নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান।
তাঁদের অভিযোগ, গত রাতে ইসলামপুর থানার পুলিশ রঘুনাথপুরের কংগ্রেস প্রার্থী রেনুকা বিবির বাড়িতে চড়াও হয়। সেখান থেকে রেনুকার দেওর অঙ্কন শেখ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। পরে ইশাননগরের কাবিল শেখ নামে এক কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। কাবিলের অনুপস্থিতিতে তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে মহিলা সিভিক পুলিশ হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। এদিকে পুলিশের দাবি, ধৃতের বাড়ি থেকে এক রাউন্ড গুলি সহ একটি ওয়ান শাটার বন্ধুক ও বোমা তৈরির জন্য মজুত কাঁচের টুকরো উদ্ধার হয়েছে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | TMC Inner Clash | ফের উত্তপ্ত বীরভূম, শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম ৪
এদিন সকালে ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই মহিলা কংগ্রেস কর্মীরা জমায়েত হয়ে ঝাঁটা হাতে থানা ঘেরাও করেন ও বিক্ষোভ দেখান। কংগ্রেস কর্মীরা বলেন, পুলিশ তদন্ত করে আসল ঘটনা বের করুক। ওই কংগ্রেস প্রার্থীর দেওর নির্দোষ। তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি তাঁদের। এদিকে পুলিশের আশ্বাস পেয়ে ঘেরাও কর্মসূচি তুলে নেন কংগ্রেস।
উল্লেখ্য,পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কাল থেকেই রাজ্যজুড়ে অশান্তি ছড়িয়েছে। গত ২৪ দিনে রাজ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রথম থেকেই হিংসার ঘটনায় সরব রাজ্যপাল। তিনি একাধিক জানিয়েছেন, কোনও ভাবে রাজ্যে হিংসা বরদাস্ত নয়। এদিনও তাঁকে ফের সরব হতে দেখা যায়। তিনি বলেন, রক্তের হোলি খেলা বন্ধ হওয়া দরকার। মানুষের রক্ত দিয়ে রাজনৈতিক হোলি খেলা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এলাকায় গিয়ে আমি পরিস্থিতি দেখেছি। কারা অশান্তির পিছনে তার তথ্য আমার কাছে রয়েছে। হিংসার যে আগুন রাজ্যের জেলায় জেলায় ছড়িয়েছে সেই দুঃখজনক অধ্যায় শেষ হওয়া উচিত। কে হিংসা ছড়াচ্ছে, তা আমার কাছে বড় কথা নয়। হিংসায় সাধারণ মানুষের ক্ষতি হচ্ছে, এটাই বড় কথা।আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কড়া মন্তব্য করার পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনে ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের উচিত সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করান। ৪৮ ঘণ্টা আমি অপেক্ষা করব। তার মধ্যে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় দেখব।