সামশেরগঞ্জ: সামশেরগঞ্জের ( Samsherganj) তৃণমূল বিধায়ক (Trinamool MLA ) আমিরুল ইসলামের গ্রেফতারের দাবিতে থানা ঘেরাও করল কংগ্রেস। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআরও করেছেন কংগ্রেস নেতারা। ওই এফআইআর রেজিস্ট্রেশন না হওয়া পর্যন্ত ঘেরাও চলবে বলে সোমবার জানিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা এবং আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। এদিন সামশেরগঞ্জে তাঁর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। রবিবার রাতে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার সময় আক্রান্ত হন কংগ্রেস কর্মী আরিফ শেখ। তাঁর পেটে গুলি করা হয়। তাঁর মা ওহিদা বিবির অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম নিজে গুলি করেছেন। ওহিদা বিধায়কের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। আরিফকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার সকালে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) আরিফকে দেখতে হাসপাতালে যান। তাঁর কাছে আরিফ অভিযোগ জানান, বিধায়ক নিজে গুলি চালিয়েছেন। পরে অধীর বলেন, আরিফ আমাকে চিনতে পেরেছে। কিন্তু কথা বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন, আমিরুল একটা ক্রিমিনাল। ওকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে জেলে পোরা উচিত। আমিরুল অবশ্য গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এলাকায় আমার অত্যন্ত স্বচ্ছ ভাবমূর্তি। তাকে কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত করছে কংগ্রেস। আমি ২০১৬ সালে বিধায়ক হওয়ার পর থেকে সামশেরগঞ্জে কোনও অশান্তি হয়নি।
এদিকে অধীর এদিন রাজ্যপালকে মুর্শিদাবাদ সফরে আসার আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, রাজ্যপাল হিংসাস্থল পরিদর্শন করছেন। খুব ভালো কথা। গোটা মুর্শিদাবাদ জেলায় খুনখারাপি বেড়েই চলেছে। আমি চাই, রাজ্যপাল নিজের চোখে দেখে যান মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি।
অধীর ভোটের দিন প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার দাবি করেন এদিনও। ইতিমধ্যেই তিনি এই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। আগামিকাল মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানি রয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন মুর্শিদাবাদ জেলার একটা অংশকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে। এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, কমিশন আর তৃণমূল মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছে। কংগ্রেস চাইছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বুথে। আর কমিশন ও তৃণমূল বাহিনীকে চাইছে পথে। তিনি বলেন, আসলে মুর্শিদাবাদে মানুষ তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে। তাই বাহিনী দিয়ে সেই মানুষের উপর অত্যাচার চালানোর ফন্দি করা হচ্ছে। সামশেরগঞ্জ থানার সামনে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা কৌস্তভ বাগচী বলেন, মালদহ, মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূল ডুবছে, কংগ্রেস ভাসছে। তাই নানাভাবে কংগ্রেসের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। এদিনও হরিহরপাড়ায় তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান, প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি সহ অনেকে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন।