বসিরহাট: ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস হয়েছিল,এই অভিযোগে একাধিকবার সরব হয়েছে রাজ্যের বিরোধীদলগুলো। তবে শাসকদলের মন্ত্রীর মুখেও শোনা গেল একই ধরনের কথা। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক স্বীকার করে নিলেন, গতবার বিরোধীদের মনোনয়ন পেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এমনকী গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট না হওয়ার কথা উল্লেখ করে, প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিলেন মন্ত্রী। ঘটনা জানাজানি হতেই ফের কটাক্ষের সুর বিরোধীদের গলায়।
৮ই জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে ভোট প্রচার সারছেন শাসক-বিরোধী দুই পক্ষের নেতা-নেত্রীরা। সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকও নির্বাচনী প্রচারের জন্য উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে গিয়েছিলেন। তৃণমূল প্রার্থী আব্দুল্লাহ রনি, সৌমেন মন্ডল, ফারহা দিবা, লক্ষ্মী রজক বিশ্বাসের জন্য প্রচার করলেন মন্ত্রী। প্রচারের ফাঁকেই ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নিয়ে মুখ খুললনে তিনি।
আরও পড়ুন: Pancahyat Election 2023 | সিপিএমের প্রতীকে হেয়ারকাট, প্রচারে ভাইরাল ভুবন
ঘোড়ার দিঘির মাঠে জনসভা করেন পার্থ ভৌমিক। তৃণমূল প্রার্থীদের পাশে দাঁড় করিয়ে রেখে মন্ত্রী বললেন, “২০১৮ সালে বিরোধীদের মনোনয়নপত্র দিতে দেওয়া হয়নি। এটা আমাদের ভুল হয়ে গিয়েছে, যার কারণে ৩৮ শতাংশ সিটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমরা জিতে গিয়েছিলাম। সেদিন বাংলার মানুষ গণতান্ত্রিক ভাবে ভোট দিতে পারিনি। আমাদের প্রতি ক্ষোভ অভিমান দুঃখ প্রকাশ করে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে আমাদেরকে অনেকেই ভোট দেইনি। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ওই ভোটে বিজেপি ১৮ সিট পেয়েছিল। এই ভুল আর হবে না আমরা চাইছি। ১০০ শতাংশ বুথে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে মানুষ তাঁর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট দেবেন।”
পাশাপাশি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে আরএসএস-এর লোর বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। দিনহাটার মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়েছিল রাজ্যপাল। কোচবিহারে স্বারাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। এই প্রসঙ্গেই রাজ্যপাল বোসকে নিশানা করতে ছাড়লেন না পার্থ ভৌমিক।