পটাশপুর: ফের শিরোনামে পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur)। শুক্রবার দুপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে পটাশপুরের (Patashpur) ১ ব্লকের পালবাড়া পশ্চিমবস্তি এলাকায়। পটাশপুরে এক নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Explosion) আহত হয়েছেন শেখ নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।গুরুতর আহতচ অবস্থায় ওই ব্যাক্তি পলাতক। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়া পুলিশ বাহিনী। এলাকায় উত্তেজনা তুঙ্গে।
শুক্রবার সকালে পটাশপুরের পালপাড়ায় এক নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। টিনের বাড়ির একাংশও ভেঙে পড়ে। এরমধ্যেই জখম অবস্থায় ওই ব্যক্তি গা ঢাকা দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাড়িতেই বোমা মজুত করা হয়েছিল। তার থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবারই পটাশপুরের পূর্ব পালপাড়া বুথে নির্দল প্রার্থী দাঁড়ানো নিয়ে অশান্তি হয়। পূর্ব পালপাড়া বুথে নির্দল (Independent) প্রার্থীকে কেন্দ্র করে এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার ২৪ ঘন্টা পরই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার না করা হলে ভোট বয়কটের ডাক দেন এলাকাবাসী। পুলিশকে ঘিরে ধরে হবিক্ষোভও দেখায় একালাবাসী।
বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটের এলাকায় অশান্তি ছড়াতেই ও এলাকা দখলের জন্য বোমা মজুত করা হচ্ছে। আর তা ফেটেই বিস্ফোরণ হয়। আপাতত এলাকা থেকে বিস্ফোরণের নমুনা সংগ্রহ করছে পুলিশ। নির্দল প্রার্থীর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
আরও পড়ুন: Digital Transitions | ১৫ অগাস্টের মধ্যে প্রত্যন্ত গ্রামেও ডিজিটাল ট্রানস্যাকশন, ফরমান জারি কেন্দ্রের
পঞ্চায়েতের দিন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলায় অশান্তির ছড়িয়েছে। ক্যানিং, ভাঙড়, ডোমকল, রানিনগর, দিনহাটা, চোপড়া, ইসলামপুর সহ প্রভৃতি এলাকা রীতিমতো উত্তপ্ত। মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ভোট হিংসায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু ভাঙড়ে আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে নিহত হয়েছে তিনজনের। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা কোনও মতে বরদাস্ত করা হবে না। ভোটের আগেই ১১ জনের মৃত্যু হওয়ায় ভোটের দিন কী হবে, তা নিয়ে আতঙ্কের প্রহর গুনছেন রাজ্যবাসী।
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের খাদিকুলে এক তৃণমূল নেতার বাজি কারখানায় বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। ওই নেতাও মারা যান। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছিলেন, অবৈধ বাজি কারখানার আড়ালে আদতে বোমা বাঁধা হচ্ছিল। তাতেই বিস্ফোরণ। ঘটনার ১০ দিন পর ওই বিস্ফোরণ স্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাজ্যের কোনও অবৈধ বাজি কারখানা বরদাস্ত করা হবে না।