নয়াদিল্লি: রাজনীতির হেঁসেলের সব মশলা ব্যবহারের শেষে আরও স্বাদ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেষপর্যন্ত ফের ধর্মের ঘি ঢাললেন লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে। ভোপালে বিজেপি কর্মীদের সভা থেকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, তিন তালাক নিয়ে সওয়াল উসকে দেওয়ার পর দেশের রাজনৈতিক মহলে সাড়া পড়ে গিয়েছে। এবার দিল্লির রাজপথে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে, আগামী বাদল অধিবেশনে কেন্দ্র অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিল আনতে চলেছে। জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে বসতে চলা বাদল অধিবেশনে সরকার বিল পেশ করতে পারে বলে সূত্রে খবর।
বিলটি সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে সকল বাদী-বিসম্বাদীদের মতামত নেওয়া হবে। সম্প্রতি ল কমিশন সকলের মতামত চেয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর পার্সোনেল, জন অভিযোগ, আইন এবং বিচার সম্পর্কিত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি ৩ জুলাই কমিশন এবং আইন মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের ডেকেছে। সেখানে তাঁদের মতামত জানা হবে। সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের বাদল অধিবেশন থেকেই নতুন সংসদ ভবনে সভা বসবে। সেই মতো সেটআপ তৈরির কাজ তুঙ্গে।
আরও পড়ুন: Uttar Pradesh Incident | ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিলের সঙ্গে সেলফি, বিপাকে পুলিশ আধিকারিক
ভোপালে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির সপক্ষে বলতে গিয়ে মোদি এদিন প্রশ্ন তোলেন, তিন তালাক যদি ইসলামের মতবাদ হয়, তাহলে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং বাংলাদেশে কেন তা নেই? তাঁর প্রশ্ন পরিবারের পৃথক পৃথক সদস্যের জন্য পৃথক পৃথক আইন কেন থাকবে? এই পরিস্থিতিতে কি একটি পরিবার সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে! আমার মনে হয়, এ ব্যাপারে আমাদের গভীর বিবেচনা করা উচিত।
আমি মনে করি, যারা তিন তালাকের পক্ষে গলা ফাটাচ্ছে, তারা ভোটব্যাঙ্কের লক্ষ্যে তুষ্টিকরণ বা তোষণের রাজনীতি করছে। মুসলিম কন্যাদের প্রতি অবিচার করছে। তিন তালাক শুধুমাত্র মুসলিম মেয়েদের ক্ষতি করে তা নয়, একবার ভেবে দেখুন, যে পরিবারটি ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ে দিল, সেই মেয়েটিই ১০ বছর আবার বাবার ঘরে ফিরে এল। কী হয় সেই পরিবারের অন্দরে, একবার ভেবে দেখুন! তিন তালাক গোটা পরিবারকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে।