কলকাতা: অবশেষে উদ্ধার টাইটানের ধ্বংসাবশেষ, দুমড়ে যাওয়া টাইটানেই আটকে দেহাবশেষও। টাইটান’ (Titan) দুর্ঘটনার প্রায় দু’সপ্তাহের মাথায় বুধবার ডুবোযানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে কানাডার কোস্ট গার্ড (Coast Guard)। নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জন বন্দরের কাছে আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরেই ওই ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। এরসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে দেহাবশেষও। আমেরিকার মেডিক্যাল অফিসাররা ওই দেহাবশেষ খতিয়ে দেখবেন। প্রয়োজনে ডিএনএ পরীক্ষার সাহায্যও নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। তারপরই নিশ্চিত করা হবে যে উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ গুলি টাইটানের যাত্রীদের নাকি।
সূত্রের মারফৎ জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে আমেরিকার মেরিন বোর্ড অফ ইনভেস্টিগেশন ডুবোযানের ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করবে। তাঁরাই চিকিৎসকদের কাছে টাইটানের কিছু অংশ পাঠাবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে ডুবোযানের টুকরোগুলি গা থেকে মানব দেহাংশ উদ্ধার আদৌ উদ্ধার করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
১৯১২ সালে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল টাইটানিক। প্রথম যাত্রাতেই ডুবে থাকা বরফের চূড়ায় ধাক্কা মারে টাইটানিক। কয়েক হাজার যাত্রীকে নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরেই সলিল সমাধি হয় টাইটানিকের। এখনও আটলান্টিকের তলাতেই পড়ে রয়েছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। আর সেই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখার ব্যবস্থা করেছিল ওশেনগেট। সেই উদ্দেশ্যেই পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে আটলান্টিকের গভীরে যাত্রা শুরু করেছিল ওশেনগেটের ডুবোযান ‘টাইটান’।
আরও পড়ুন:Mamata Banerjee | ঈদ ও উল্টোরথের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
ওই ছোট্ট সাবমেরিনে যাত্রী ছিলেন ব্রিটেনের হ্য়ামিস হার্ডিং, ফ্রান্সের সাবমেরিন বিশেষজ্ঞ পল হেনরি নারগিওলেট, পাকিস্তানি-ব্রিটিশ ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তাঁর ছেলে সুলেমন এবং ওয়ানগেট এক্সপিডিশন সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ। কিন্তু জলের নীচে যাওয়ার পৌনে দু’ঘণ্টার মধ্যেই দিক নির্দেশকারী জাহাজ বা কমান্ড শিপ ‘পোলার প্রিন্স’-র সঙ্গে ডুবোযান ‘টাইটান’-র যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনার চারদিনের মাথায় ‘টাইটানিক’-র থেকে ১৬০০ মিটার দূরে ডুবোযানের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পায় রোবট ডুবুরি। বুধবার যা জলের উপরে তোলে কানাডার কোস্ট গার্ড।