কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) দশ দিন আগেও কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) নিয়ে টানাপড়েন অব্যাহত। আদালতে কেন্দ্রের আইনজীবীর অভিযোগ, কমিশনের (State Election Commission) কাছে তথ্য চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। কোথায় কত বাহিনী কীভাবে মোতায়েন হবে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য দিচ্ছে না কমিশন। কমিশনের পাল্টা দাবি, সব তথ্যই দেওয়া হচ্ছে। এই চাপানউতোরে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) টিএস শিভগননম বলেন, আপনারা দুপক্ষ বসে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিন।
আদালত অবমাননার (Contempt of Court) মামলায় বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন হলফনামা জমা দিল। মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (Additional Solicitor General) বলেন, বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কোনও পরিকল্পনার কথাই কমিশন জানাচ্ছে না। বাহিনী বুথে থাকবে না বাইরে থাকবে, তা স্পষ্ট করে বলছে না কমিশন। বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করবে কারা, তারও সদুত্তর মিলছে না। দুদুবার কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ICC ODI World Cup 2023 | বিশ্বকাপের আগেই আমেদাবাদের হোটেল ৫০ হাজার
প্রধান বিচারপতি এ ব্যাপারে কমিশনের বক্তব্য জানতে চান। কমিশনের আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সমন্বয়ের কোনও অভাব নেই। প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা দুপক্ষ বসে কথা বলছেন না কেন। মানুষ যাতে আশ্বস্ত হয়, সেই ব্যবস্থা করুন। মানুষকে বোঝান যে, তাঁদের মনোবল বাড়াতে আপনারা পদক্ষেপ করছেন। কমিশনের আইনজীবী পাল্টা বলেন, সংবিধান এবং আদালত কমিশনের উপর ভরসা রাখুক।
হাইকোর্টের নির্দেশের পর জেলাশাসকরা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, আদালত তা জানতে চায়। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের কাজে লাগানো হচ্ছে কি না, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে কি না সিসিটিভির কী ব্যবস্থা করা হয়েছে, এসবও জানতে চায় আদালত। কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যা চাইছে, তা একটা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে করে ফেলা যায়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বাহিনীর সুবিধা অসুবিধার কথা কেন্দ্রীয় সরকার জানতে চাইতেই পারে। বাইরে থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের কোথায় কীভাবে মোতায়েন করা হবে, তা না জানলে সমস্যা হবে। কমিশনের পেশ করা মাত্র দুপাতার হলফনামায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট বলে এতে অনেক কিছুই নেই।
আদালতের নির্দেশ, আগামী সোমবারের মধ্যে কমিশনকে একটি রিপোর্ট দিতে হবে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে সে ব্যাপারে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের কোনওমতেই আইনশৃঙ্খলা কাজে ব্যবহার করা যাবে না।