কলকাতা: আপনি নিশ্চয়ই জানেন কোন মহান ব্যক্তিত্বের স্মৃতিতে পালিত হয় চিকিৎসক দিবস (Doctors day)? একদমই ঠিক বলেছেন, বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (EX CM) ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের (DR. Bidhanchandra Roy)। ১৯৯১ সালে চিকিৎসা ক্ষেত্রে তাঁর অবদানকে স্বীকৃতি জানাতে এই দিনটি চিকিৎসক দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। তিনি এমন এক ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যিনি ভালোবাসা, প্রশংসা ও সমাদর কুড়িয়েছিলেন সমগ্র ভারতবর্ষ থেকেই।তিনি এমন একজন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, যিনি স্বপ্ন দেখতেন বাংলা-বিহার এক করার।
আজীবন অবিবাহিত ছিলেন ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়, কিন্তু জানেন কেন?
কথিত, তরুণ বিধান চন্দ্রের প্রেমের সম্পর্ক ছিল কল্যাণী সরকারের সঙ্গে। কল্যানী দেবী ছিলেন বিখ্যাত চিকিৎসক নীলরতন সরকারের কন্যা। নিজেদের প্রেমকে পূর্ণতা দিতে কল্যানীকে বিয়ে করার আর্জি নিয়ে নীলরতনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিধানচন্দ্র রায়। তবে সেখান থেকে মেলে তীব্র প্রত্যাখ্যান। স্বনামধন্য ডাক্তার নীলরতন সরকার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, তাঁর কন্যার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে বিধানচন্দ্র সক্ষম নন। এরপর বিধানচন্দ্র উচ্চশিক্ষায় মন দেন। কিন্তু ভোলেননি নিজের ভালোবাসাকে। কল্যাণীর জন্য কোনদিন অন্য কারর সঙ্গে সংসার করেননি বিধানচন্দ্র। কল্যানীও ভালোবাসতেন বিধান`কে। তিনিও বিয়ে করেননি কাউকে। এরপর বছর তিনেক পর হঠাৎই একদিন বিধানচন্দ্র খবর পান, কল্যাণী আত্মহত্যা করেছেন।
আরও পড়ুন: Dr Bidhan Chandra Roy | ডঃ বিধান চন্দ্র রায়ের স্মরণে কেন ডাক্তার দিবস উদযাপন করা হয়, জানুন আসল কারণ
কল্যানীর প্রতি বিধানচন্দ্রের ভালোবাসা ছিল অপার। আর তার প্রমাণ মেলে তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গ পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা উদ্বাস্তু সমস্যায় জেরবার। ওই মোক্ষম সময়ে বিধানচন্দ্র বুঝেছিলেন, কলকাতা`তে হবেনা, তিলোত্তমা`র অনতিদূরেই একটি নতুন টাউনশিপ গড়ে তুলতে করতে হবে। সেই মতোই নদিয়া জেলায় গড়ে ওঠে একটি নতুন টাউনশিপ। আর বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় এই শহরের নাম নিজই দেন! শহরের নাম রাখেন নিজের প্রয়াত প্রেমিকা কল্যাণীর নামে, কল্যাণী।