কলকাতা: ‘তুঝসে নারাজ নেহি জিন্দেগি’ (Tujhse Naraz Nahin Zindagi), কিংবা ‘আনে বালা পাল জানে বালা হে’ (Aanewala Pal Janewala Hai), শ্রোতাদের মনে ঢেউ তোলা আবেগের গানের রূপকার রাহুল দেব বর্মনের (RD Burman) আজ জন্মদিন। কাছের মানুষের কাছে তিনি পঞ্চম দা এবং আরডি বর্মন হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। এখন পর্যন্ত ভারতীয় সিনেমার সংগীত জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক রূপে বিবেচিত হন।
১৯৩৯ সালের ২৭ জুন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাহুল দেব বর্মন। তাঁর বাবাও ছিলেন একজন খ্যাতিমান সংগীতজ্ঞ নাম শচীন দেববর্মন। মা মীরা দাসগুপ্তও ছিলেন গীতিকার। প্রাথমিকভাবে রাহুলের ডাকনাম টুবলু রাখা হয়েছিল, কিন্তু পরে তাঁর ডাক নাম হয়ে ওঠে পঞ্চম। এই নামকরণের পিছনেও রয়েছে একটি কাহিনি। কেউ কেউ বলে থাকেন আরডি বর্মন একদম ছোটবেলায় যখন কান্নাকাটি করতেন তখন ‘সা রে গা মা পা এর ‘পা’ ধ্বনির শুরে কাঁদতেন। আর পা যেহেতু সপ্তসুরের পঞ্চম ধ্বনি অনুযায়ী পঞ্চম হয় বা ‘প’ অক্ষর থেকে পঞ্চম রাখা হয়।
আরও পড়ুন: ‘প্রজেক্ট কে’ নিয়ে চর্চা তুঙ্গে
আরডি বর্মণ সঙ্গীত পরিচালনায় তার ক্যারিয়ার শুরু করেন ১৯৬১ সালে অভিনেতা মেহমুদ প্রযোজিত ‘ছোটে নবাব’ সিনেমায়। পরের তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তার সুরেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ‘ইয়াদো কি বারাত’, ‘গোলমাল’, ‘খুবসুরত’, ‘সনম তেরি কসম’, ‘শোলে’, ‘রকি’র মতো সিনেমার গানগুলো। রাহুল সংগীত বিষয়ে মুম্বাইতে ওস্তাদ আলি আকবর খান এবং সমতা প্রসাদের কাছে ছোটোখাটো প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। সংগীতকার সলিল চৌধুরীর কাছে রাহুল সংগীতের ব্যাপারে অনেক কিছু শিখেছিলেন।
ব্যক্তি জীবনে দু’বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আরডি বর্মণ। পঞ্চমদার পরিচালনাতে আশা ভোঁসলে তাঁর জীবনের অনেক বিখ্যাত গান গেয়েছেন। ১৯৮১ সালে ‘সনম তেরি কসম’ সিনেমার সঙ্গীত পরিচালনার জন্য ফিল্মফেয়ার ‘সেরা সঙ্গীত পরিচালক’-এর পুরষ্কার পান। আর বর্তমান দিনে তাঁকে স্মরণ করে তাঁর নামে ফিল্মফেয়ারে ‘আরডি বর্মণ নবীন সঙ্গীত পরিচালক’ পুরষ্কার দেয়া হয়।