লন্ডন: অ্যাশেজ সিরিজের (Ashes Series) প্রথম টেস্ট শেষ হয়েছে চারদিন হতে চলল, কিন্তু তার রেশ এখনও পুরোমাত্রায়। বার্মিংহ্যামে জিতে ১-০ এগিয়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া (Australia)। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ইংল্যান্ডের (England) বাজবল ক্রিকেট (Bazball Cricket) মাত হয়েছে অজিদের প্রথাগত টেস্ট ক্রিকেটের কাছে। তবে এজবাস্টনের (Edgbaston) পিচ কিন্তু ঠিক ইংল্যান্ড সুলভ হয়নি। উইকেটে একেবারে ঘাস ছিল না, ব্যাটিংয়ের পক্ষে যথেষ্ট সহায়ক ছিল এবং শেষের দিকে পেসারদের থেকে বেশি সাহায্য করছিল স্পিনারদের। এই পিচ পছন্দ নয় ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের (James Anderson)। তিনি বলে দিলেন, সিরিজে যদি এরকমই পিচ তৈরি হয় তাহলে তিনি খেলবেনই না।
টেস্ট ক্রিকেটের (Test Cricket) তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি (পেসার হিসেবে এক নম্বর) অ্যান্ডারসন বলছেন, ওই পিচ আমার কাছে ক্রিপ্টোনাইটের মতো। খুব একটা সুইং করছিল না, কোনও রিভার্স সুইং (Reverse Swing) হয়নি, বাউন্স ছিল না, গতি ছিল না। সবধরনের পরিবেশে যাতে বল করতে পারি তার জন্য বছরের পর বছর স্কিল আয়ত্ত করেছি। কিন্তু ওই পিচে যাই করি না কেন, কিছুতেই কিছু হয়নি। মনে হচ্ছিল যেন এক অসম লড়াই লড়ছি। অবশ্য সিরিজ অনেক দীর্ঘ এবং আশা করি কোনও এক সময়ে আমি অবদান রাখতে পারব। কিন্তু যদি সব পিচ এরকম হয় তাহলে অ্যাশেজে আমি আর নেই।
আরও পড়ুন: Kolkata TV Exclusive | Madan Lal | ক্রিকেটারদের থেকে সেরাটা বের করে আনতে জানতেন কপিল: মদন লাল
কাউন্টি ক্রিকেট (County Cricket) খেলার সময় কুঁচকিতে চোট পেয়েছিলেন টেস্টে ৬৮৬ উইকেটের মালিক। এজবাস্টনে ১০০ শতাংশ দিতে পারেননি তিনি। বলে সেরকম গতি ছিল না, ব্যাটারদের যেভাবে নাজেহাল করেন তিনি, সেই পরিচিত দৃশ্যও উধাও। তা নিয়ে অ্যান্ডারসনের মন্তব্য, শরীরে একটু মরচে ধরেছিল কিন্তু আমি যতটা পেরেছি সব দিয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে খেলার পর আমি বুঝেছি, সব ম্যাচে উইকেট নেওয়া যায় না। কখনও কখনও আপনার সপ্তাহ হয় না। আমার জন্য সেরকমই ছিল। আমি জানি এই সপ্তাহে টপ ফর্মে ছিলাম না। এটা আমার সেরা পারফর্ম্যান্স ছিল না।
তিনি আরও বলেন, শরীর বেশ ভালোই বোধ করল। কিছু জড়তা ছিল কিন্তু সেটা মাঠের ইউনিক কারণে। আমরা খুব নরম আউটফিল্ডে দৌড়চ্ছিলাম তারপর এক পাথুরে-কঠিন পিচে এসে পড়ছিলাম। এতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শরীরে আঘাত লাগে। সব বোলারই কিছুটা এই সমস্যা অনুভব করছিল।