লখনউ: গোরক্ষপুর নয়, বিধানসভা কেন্দ্র হিসাবে যোগী আদিত্যনাথের পছন্দ নাকি অযোধ্যা৷ এমনই জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক মহলে৷ তার পর থেকে জোর চর্চা চলছে৷ খোঁচা মেরে বিরোধীরা বলছেন, পিঠ বাঁচাতে জায়গা বদল করছেন যোগী আদিত্যনাথ৷ বিজেপি অবশ্য এসব মানতে নারাজ৷ বরং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অযোধ্যায় প্রার্থী হলে স্বাগত জানাবে দল৷
আরও পড়ুন: ‘পণ নিইনি’ জানিয়ে মুচলেকা দিতে হবে কেরলের সরকারি কর্মীদের
গোরক্ষপুর এবং যোগী আদিত্যনাথ যেন একে অপরের পরিপূরক৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই আসনটি ভীষণ ‘পয়া’৷ ২৬ বছর বয়সে এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে তিনি প্রথমবার সাংসদ হন৷ তার পর টানা পাঁচ বছর গোরক্ষপুর থেকে জিতেছেন৷ যোগীর দৌলতে গোরক্ষপুর হয়ে ওঠে বিজেপির দূর্গ৷ যদিও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর যোগী আর ভোটে দাঁড়াননি৷ বিধান পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়ে তিনি বিধানসভার সদস্য হন৷ মনে করা হচ্ছিল, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিনি গোরক্ষপুর লোকসভা কেন্দ্রের আওতায় গোরক্ষপুর গ্রামীণ অথবা গোরক্ষপুর নগর কেন্দ্র দু’টির মধ্যে একটিতে প্রার্থী হতে পারেন৷ তবে শেষ পর্যন্ত যোগী আদিত্যনাথ অযোধ্যায় প্রার্থী হলে তা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা৷ রাজ্যের ৪০৩টি আসনের মধ্যে অযোধ্যা নজরকাড়া কেন্দ্রগুলির অন্যতম৷ তার উপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই কেন্দ্রের প্রার্থী হলে অযোধ্যা হয়ে উঠবে ২২-এর নির্বাচনের ‘এপিসেন্টার’৷
যোগীর অযোধ্যায় প্রার্থী হওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা৷ কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি একসুরে জানিয়েছে, গোটা রাজ্যে তো বটেই, অযোধ্যার উন্নয়নে যোগী আদিত্যনাথ কোনও কাজ করেননি৷ এর সঙ্গে রয়েছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি, বেকারত্ব বৃদ্ধি, কৃষক সমস্যা, কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার মতো ইস্যুগুলি৷ পিঠ বাঁচাতে তাই জায়গা বদল করছেন৷ কংগ্রেস মুখপাত্র সুরেন্দ্র রাজপুত বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে হবে গত চারবছরে তিনি অযোধ্যার উন্নয়নে কী করেছেন? কত যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে? কটা গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছেন? মহিলাদের সুরক্ষায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? প্রতিটি গ্রামে কোভিডে কতজনের মৃত্যু হয়েছে?’
আরও পড়ুন: মন কি বাতে ‘ভারত জোড়ো’ আন্দোলনের ডাক মোদির, চালু ‘রাষ্ট্রগান’ পোর্টাল
শেষ পর্যন্ত খবরটি সত্যি হলে এই আসনটি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে ছেড়ে দিতে হবে বিজেপি বিধায়ক বেদ প্রকাশ গুপ্তাকে৷ যদিও এজন্য তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই৷ বেদ প্রকাশ গুপ্তা বলেছেন, ‘অযোধ্যাবাসীর কাছে এর চেয়ে গর্বের বিষয় আর কী হতে পারে৷ এই কেন্দ্রে কে প্রার্থী হবে তা দলই ঠিক করবে৷ কিন্তু অযোধ্যায় প্রার্থী হওয়া নিয়ে বিবেচনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী৷’