চেন্নাই: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে (WTC Final 2023) অস্ট্রেলিয়ার (Australia) কাছে ভারতের শোচনীয় হারের পর এক পক্ষকাল কেটে গিয়েছে। কিন্তু সেই হারের ক্ষত এখনও টাটকা, যন্ত্রণা দিচ্ছে। একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার টিম ইন্ডিয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন। সমালোচিত হয়েছে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) টসে জিতে বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত। বিশ্বের এক নম্বর বোলার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে (Ravichandran Ashwin) বসানোর নিয়ে উত্তাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। অশ্বিন নিজে এতদিন এ নিয়ে মুখ খোলেননি, স্রেফ অস্ট্রেলিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। কিন্তু এবার মুখ খুললেন, সরাসরি কিছু না বললেও ঘুরিয়ে বার্তা দিয়েছেন তিনি।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন ভারতীয় অফস্পিনার। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে ইংল্যান্ডের বাজবল ক্রিকেট (Bazball Cricket) থেকে তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগের (TNPL) প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, অভিনন্দন অস্ট্রেলিয়া! দুর্দান্ত ফাইনাল হয়েছে এবং ওরা সম্পূর্ণভাবে জয়ের দাবি রাখে। মার্নাস লাবুশেনের মতো কয়েকজন খেলোয়াড় কাউন্টি ক্রিকেটে কয়েকটি ম্যাচ খেলেছিল, যেটা খুব ছোট্ট অ্যাডভান্টেজ। তবে মাত্র এক টেস্টের ফাইনালে কে কী করবে তা সত্যিই বলা যায় না, তবে অস্ট্রেলিয়ার এই জয় প্রাপ্য ছিল। আগের বারেও, তারা একটুর জন্য ফাইনালের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। তারা ভারতের মতোই ধারাবাহিক টেস্ট দল।
আরও পড়ুন: Suresh Raina | ভিনদেশে ভারতীয় খাবারের স্বাদ দিতে রেস্তরাঁ খুললেন সুরেশ রায়না
গতকাল অর্থাৎ ২৩ জুন ছিল ভারতের শেষতম আইসিসি ট্রফি জয়ের ১০ বছরপূর্তি। সেই স্মৃতির সঙ্গেই উঠে এসেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) প্রসঙ্গ। তিনি নেতৃত্ব ছাড়ার পর থেকে আর কোনও আইসিসি ট্রফি জেতেনি ভারত, স্বভাবতই তাঁকে মিস করছে ভারতীয় সমর্থকরা। এই ট্রফি খরা এবং ধোনি প্রসঙ্গেও মুখ খুললেন ৩৬ বছর বয়সি অফস্পিনার। তিনি বলেন, ১০ বছরে কোনও আইসিসি ট্রফি না জেতা নিয়ে সমর্থকদের ক্ষোভ বোধগম্য, আমার তাঁদের প্রতি সহানুভূতি রয়েছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া হল, এই প্লেয়ারকে বাদ দেওয়া উচিত, ওই প্লেয়ারকে নেওয়া উচিত। কিন্তু প্লেয়ারের গুণমান রাতারাতি বদলে যায় না।
এরপরেই অশ্বিন বলেন, অনেকেই এম এস ধোনির নেতৃত্বের কথা বলছেন। তিনি কী করেছিলেন? তিনি বিষয়টা সরল রেখেছিলেন। তাঁর অধীনে আমিও খেলেছি, সে সময় তিনি ১৫ জনের একটা দল বাছতেন। সেই একই ১৫ জন এবং ১১ জন সাড়া বছর ধরে খেলত। এই নিরাপত্তার বোধ একজন খেলোয়াড়ের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তার মানে অশ্বিন কি বলতে চাইলেন, কোহলি-রোহিতের সময়ে ক্রিকেটারদের সেই নিরাপত্তা নেই?