তিরুঅনন্তপুরম: বিয়েতে পণ নেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ তবুও দেনা-পাওনার চল বন্ধ হয়নি৷ সেই পণপ্রথার বিরুদ্ধে ‘অভিযানে’ নামল কেরল সরকার৷ ঠিক হয়েছে, রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে বিয়েতে তাঁরা পণ নেননি৷ পাশাপাশি, ২৬ নভেম্বর পণবিরোধী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণী এই রাজ্য৷
আরও পড়ুন: ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রবেশ, অসমে ধৃত ২৪ জন রোহিঙ্গা
রাজ্যের মহিলা ও শিশু কল্যাণ দফতর একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে৷ তাতে বলা হয়েছে, বিয়ের একমাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের পণ না নেওয়ার মুচলেকা জমা দিতে হবে৷ তাতে সই থাকবে স্ত্রী, বাবা ও শ্বশুরের৷ ওই মুচলেকা তার পর সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রধানের কাছে জমা দিতে হবে৷ মুচেলেকায় স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে, বিয়েতে তাঁরা পণের জন্য শ্বশুরবাড়িকে চাপ দেননি৷ অথবা পণ দেওয়ার প্রস্তাব এলেও তা ফিরিয়ে দিয়েছেন৷
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, প্রতি ছ’মাস অন্তর এই বিষয়ে জেলার পণ-রোধী আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট বাধ্যতামূলক জমা করতে হবে বিভিন্ন দফতরের প্রধানদের৷ প্রথম রিপোর্ট ১০ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় রিপোর্ট অক্টোবরের ১০ তারিখের আগে জমা দিতে হবে৷ এর পর সেই রিপোর্ট সরকারের কাছে তিনি জমা দেবেন৷
আরও পড়ুন: মন কি বাতে ‘ভারত জোড়ো’ আন্দোলনের ডাক মোদির, চালু ‘রাষ্ট্রগান’ পোর্টাল
নির্দেশিকা না মেনে পণ নিলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মীর সর্বনিম্ন পাঁচ বছর জেল এবং কমপক্ষে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে৷ এছাড়া পণ চাইলেই সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে ধরা হবে৷ পণের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড় সচেতনতামূলক প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর৷ ঠিক হয়েছে, ২৬ নভেম্বর পণ বিরোধী দিবস হিসাবে পালন করা হবে৷ ওই দিন স্কুল, কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে সচেতনতামূলক প্রচার করা হবে৷