গুয়াহাটি: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কারণে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে সংসদে মন্তব্য করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ তার পরই গত দু’দিনে অসমে রেল পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ২৪ জন রোহিঙ্গা৷ সকলেই ভুয়ো পরিচয়পত্র নিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল৷ বৈধ কাগজ না থাকায় ধৃতদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন: কাশী বিশ্বনাথ করিডরের জন্য ১ হাজার ৭০০ বর্গফুট জমি ছেড়ে দিল মসজিদ কমিটি
রবিবার সকালে গুয়াহাটি স্টেশনে ৯ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ে৷ ওই ৯ জনের দলে ৩ জন মহিলা এবং এক শিশুও ছিল৷ তল্লাশি চালিয়ে সকলের কাছ থেকে ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশনারের ভুয়ো রিফিউজি কার্ড উদ্ধার করে রেল পুলিশ৷ অসম জিআরপি-র তরফে জানানো হয়েছে, আগরতলা-দেওঘর এক্সপ্রেসে তল্লাশির সময় ওই রোহিঙ্গারা ধরা পড়ে৷ তাদের সঙ্গে জম্মু এক বাসিন্দা ছিল৷ ওই ব্যক্তির নাম আমান উল্লাহ৷ মনে করা হচ্ছে, আমান উল্লাহ রোহিঙ্গাদের অসমে অনুপ্রবেশ করতে সাহায্য করছিল৷
এর আগে গত শুক্রবার করিমগঞ্জে সিলচর-আগরতলা ট্রেন থেকে ধরা পড়ে ১৫ জন রোহিঙ্গা৷ তাদের কাছ থেকেও কোনও বৈধ কাগজ মেলেনি৷ জিআরপি জানিয়েছে, কাজের খোঁজে এরা উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে গিয়েছিল৷ বাংলাদেশ ফেরার সময় ধরা পড়ে৷ বাংলাদেশ সীমান্তের খুব কাছে করিমগঞ্জ৷ গত বছর ডিসেম্বরে করিমগঞ্জ থেকে ১৩ জন রোহিঙ্গা ধরা পড়ে৷ বাংলাদেশের কক্স বাজার থেকে এরা কাজের খোঁজে দিল্লি যাচ্ছিল৷ এর আগে বহুবার অসমে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে রোহিঙ্গারা৷
আরও পড়ুন: মন কি বাতে ‘ভারত জোড়ো’ আন্দোলনের ডাক মোদির, চালু ‘রাষ্ট্রগান’ পোর্টাল
২০১৭ সালে মায়ানমারে অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত টপকে রোহিঙ্গারা দেশ প্রবেশ করতে শুরু করে৷ চলতি বছর এপ্রিলেই সুপ্রিম কোর্ট আইনি প্রক্রিয়া মেনে জম্মু ও কাশ্মীরে বন্দি থাকা রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু করার নির্দেশ দেয়৷