বাঁকুড়া: দলের টিকিট না পেয়ে এবার নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটার ময়দানে নামলেন বাঁকুড়ার ওন্দার তৃণমূল প্রবীর ঘোষ। দলের অনুগত নেতা এবং বড় যোদ্ধার নির্দল হয়ে ভোটে লড়াই রীতিমতো চাপ বাড়ল তৃণমূলের এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। যদিও শাসকদলের পাল্টা দাবি এটে তাদের তেমন একটা চাপ হবে না।
প্রথমে কংগ্রেস পরে তৃণমূল। একবারে জন্মলগ্ন থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করছেন ৬১ বয়সের তৃণমূল নেতা প্রবীর ঘোষ। ছাত্র জীবনে কলেজ রাজনীতি থেকে হাতেখড়ি। ১৯৯৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে পঞ্চায়েত সদস্য, ২০০৮ সালে নির্বাচনে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এছাড়া স্কুলের পরিচালন সমিতি ও সমবায় নির্বাচনে সফল হয়েছেন তিনি। বর্তমানে দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। দলের কাছে নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে কেবলমাত্র তিনি নন, ওন্দা ২ নং অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি ও এলাকার মানুষের আবেদনও ছিল ওন্দা পঞ্চায়েত সমিতির ৩২ নং আসনে প্রবীর ঘোষ কে টিকিট দেওয়া হোক। দলের কাছে চিঠি দিয়ে আবেদন পর্যন্ত করেন তিনি।
অভিযোগ, জেলা ও ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁকে প্রথমে আশ্বাস দেয় যে পঞ্চায়েত সমিতির ওই আসনে তিনি লড়াই করবেন। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে তিনি জানতে পারেন ওই আসনে তৃণমূলের প্রতীক পেয়েছেন অন্য কেউ তখন তিনি দুটি পাতা প্রতীক নিয়ে নির্দল হিসেবে ঘাসফুলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সামিল হন।
প্রবীর বাবুর অভিযোগ দলের এত দিনের পুরানো কর্মীকে একশ্রেনীর আঞ্চলিক নেতা ও ব্লক নেতাদের একাংশ নিজেদের সিণ্ডিকেট রাজ চালাতে তাঁকে টিকিট থেকে বঞ্চিত করেছেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে আছেন পাশে আছেন কিন্তু স্থানীয় অসত নেতৃত্বের পাশে নেই তাই তিনি নির্দল হয়ে লড়াই করে দেখিয়ে দিতে চান তার গ্রহন য্যোগতা কতটা। দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা প্রবীর বাবু। দুটি পাতা প্রতীক নিয়ে নির্দল হিসেবে মানুষ তাকে সমর্থন করবে আশাবাদী প্রবীর বাবু।
উল্লেখ, জেলা তৃণমূলের সাধারন সম্পাদক নির্দল হয়ে লড়াই করছেন তাতে চাপ বেড়েছে তৃণমূলের মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। যদিও ব্লক তৃণমূলের দাবি চাপের কিছু নেই মানুষের ভরসা রয়েছে ঘাসফুল। প্রবীর বাবুর নির্দল তৃণমূলের কোন সমস্যার কারন নেই। তৃণমূলের ওন্দা ব্লক সভাপতি দাবি প্রবীর বাবুর সাথে অঞ্চল নেতৃত্বের কোন যোগাযোগ নেই। উনি দলের কোন কর্মসূচীতেও যান না। দলের উচ্চ নেতৃত্ব যাকে যোগ্য মনে করেছে সেই দলের প্রতীক নিয়ে লড়াই এর ময়দানে জায়গা পেয়েছে। দলের পদে থেকে নির্দলে লড়াই দল ব্যবস্থা নেবে দাবি তৃণমূল সভাপতির।