নয়াদিল্লি: রাহুল গান্ধীর ‘রহস্যাবৃত’ বিদেশ সফর নিয়ে খোঁচা বিজেপির। গত মাসের শেষ নাগাদ আমেরিকা সফরে গিয়ে বিভিন্ন ভাষণে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে তুলোধনা করেন কংগ্রেস নেতা। তারপর থেকে তিনি অজ্ঞাতবাসে বলে কটাক্ষ বিজেপির। মঙ্গলবার রাতে দেশে ফিরতে পারেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। তা নিয়ে বিজেপি রহস্যে ঢাকা বিদেশ সফর বলে বিঁধেছে তাঁকে। বিজেপির বক্তব্য, ৬ দিনের কর্মসূচিতে তিনি আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপর ২১ দিন পর দেশে ফিরছেন রাহুল। এই সময়টা তিনি কোথায় ছিলেন?
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক টুইট-খোঁচায় বলেন, বিদেশে এতদিন কী করছিলেন রাহুল গান্ধী? বিশেষত তাঁর এই সফরের অধিকাংশ সময়টাই রহস্যে ঢাকা। মালব্য আরও লিখেছেন, বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা ও গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর গোপন বৈঠকের নানান খবর পাওয়া যাচ্ছে। যা ভারতের স্বার্থবিরোধী। সে কারণেই তাঁর বিদেশযাত্রার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: Himalayan Glaciers | হিন্দুকুশ হিমালয়ের ৭৫ শতাংশ হিমবাহ গলে যাবে ২১০০ সালের মধ্যে
প্রসঙ্গত, আগামী ২৩ জুন পাটনায় বসতে চলেছে বিজেপি বিরোধী দলগুলির মহাবৈঠক। সেই বৈঠকে যাতে রাহুল উপস্থিত থাকেন, সে কারণে বৈঠকের দিন পিছানো হয়েছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার অনেক আগেই এই বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু, কংগ্রেসের তরফে জানানো হয় যে, রাহুল বিদেশে এবং দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় দিন পিছলে ভালো হয়। সেই মতো ২৩ জুন দিন ধার্য হয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে উৎখাতের ডাক দিতে বিরোধীরা একমঞ্চে শামিল হতে চাইছে। যেখানে কংগ্রেসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লন্ডনের মতো আমেরিকাতে গিয়েও মোদি সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন রাহুল। ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে বলেন, মোদির নেতৃত্বে দেশ এগচ্ছে না। ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য তিনি কেন্দ্রকেই দায়ী করেন। আর একটি টুইটে রাহুল লেখেন, মণিপুর জ্বলছে। এর পিছনে রয়েছে বিজেপির ঘৃণার রাজনীতি। মণিপুর নিয়ে মোদির চুপ করে থাকা এবং রাজ্যে শান্তি স্থাপনে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোরও প্রস্তাব দেন রাহুল। তাই এবারে রাহুলের দেশে ফেরার আগের মুহূর্তে বিদেশের মাটিতে তাঁর গোপন বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিজেপি।