পাটনা: বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (হাম) নীতীশ কুমারের জোট সরকার থেকে বেরিয়ে এল। দলের বিধায়করা রাজ্যপালের কাছে গিয়ে জোট সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে আসেন সোমবার সন্ধ্যায়। দলের জাতীয় সভাপতি সন্তোষ সুমন এদিন এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। কয়েক দিন আগেই জিতনরামের ছেলে সন্তোষ নীতীশের মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন। জিতন এবং সন্তোষ দিল্লি যাচ্ছেন। সূত্রের খবর, তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করবেন। সম্ভবত খুব শীঘ্রই হাম এনডিএর শরিক হতে চলেছে। সন্তোষ জানান, দলের পরবর্তী পদক্ষেপ দুতিনদিনের মধ্যে সাংবাদিকদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
আগামী শুক্রবার, ২৩ জুন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের উদ্যোগে পাটনায় বিজেপি বিরোধী দলগুলির মেগা বৈঠক বসতে চলেছে। তার আগেই জিতনরামের দলের এই পাল্টি। সন্তোষ মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই অবশ্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার অভিযোগ করেন, জিতনরাম অনেকদিন আগে থেকেই তলে তলে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন। তিনি বলেন, জিতনরাম ২৩ জুনের বৈঠকে হাজির থাকতে চেয়েছিলেন। তিনি বৈঠকের কথা সব ফাঁস করে দিতেন বিজেপি নেতাদের কাছে। নীতীশের দাবি, হাম পার্টির এই সিদ্ধান্তে বিহারে জোট সরকারের কোনও ক্ষতি হবে না।
আরও পড়ুন: Ashes Series | Joe Root | দিনের প্রথম বলেই রুটের রিভার্স স্কুপ! হঠাৎই আলোচনায় ঋষভ পন্থ
জিতনরামের অভিযোগ ছিল, নীতীশের সরকার সাধারণ মানুষের স্বার্থবিরোধী কাজ করে চলছিল। এ ছাড়া নীতীশ কুমার তাঁর দলকে জেডিইউয়ের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে চাপ দিচ্ছিলেন। যদিও নীতীশ সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার চার বিধায়ক গত বছর বিহারে নীতীশের মহাজোটে যোগ দেন। নীতীশের সঙ্গে বিহারে বিজেপির মধুচন্দ্রিমা শেষ হওয়ার পরই জিতনরামের দল মহাগাঁটবন্ধনে শামিল হয়। এই মুহূর্তে ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় শাসক জোটের বিধায়ক সংখ্যা প্রায় ১৬০। সিপিএম, সিপিআই এবং সিপিআই (এমএল) বাইরে থেকে জোট সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে।