কলকাতা: নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। নিরাপত্তা চেয়ে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Nawsaad Siddiqui) হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছে নওশাদ সিদ্দিকী। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় এই মামলার শুনানি।
সোমবার ভাঙড়ের বিধায়ক জানান, রাজ্য সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলাম। তারপর কেন্দ্রীয় সরকারকে নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কোথাও সুরাহা না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। কেন্দ্র অচ্ছুত নাকি? যদি কেন্দ্রীয় সরকার নিরাপত্তা দেয় আমি নেব। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লাকে রাজ্য সরকার নিরাপত্তা দিতে চলেছে। এ বিষয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, আমার উপরে হামলা হতে পারে। তাই নিরাপত্তা চেয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী শওকত মোল্লাকে বলেছিলেন তুমি বোম বাঁধো। তাকেই জেট ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দেওয়া হল। নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টে ভাঙ্গরের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তার আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, তার কোনও নিরাপত্তা নেই। অথচ ভাঙড়় এখন যুদ্ধ ক্ষেত্র।
পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন পর্বে রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। হিংসায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এমন কি নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, ভাঙড়ে শান্তির স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী বললে প্রার্থী প্রত্যাহার নিয়েও ভাবব। তিনি আরও জানান, ভোট নিয়ে চাই না কোনও রাজনৈতিক দলের কেউ প্রাণ হারাক। আমি রাজনীতির মাধ্যমে সমাজের বদল ঘটাতে এসেছি, কারও ক্ষতি হোক সেটা চাই না, মন্তব্য ভাঙড়ের আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকীর।
প্রসঙ্গত, ভাঙড়ের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গত ১৪ তারিখ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান নওশাদ সিদ্দিকী। নবান্নে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায় তাঁকে৷ নবান্নের প্রতীক্ষা করেন তিনি বেশ কিছুক্ষণ, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়নি। এরপর ১৫ জুন রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড়। হিংসায় ঘর বাড়ি থেকে জ্বালানো হয় একাধিক গাড়িও। অশান্তিতে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। এরপর নওশাদকে বলতে শোনা গিয়েছে, সেই দিন মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাৎ করলে। ভাঙড় নিয়ে আলোচনায় বসলে হত এই পরিস্থিতি তৈরি হত না।
