কলকাতা: আইএসএলে (ISL) ক্রমাগত হতাশা কি কাটতে চলেছে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)? দলবদলের বাজারে তারা যেভাবে সক্রিয় হয়েছে তাতে কিন্তু সেরকমই ইঙ্গিত মিলছে। হায়দরাবাদ থেকে নিশু কুমার (Nishu Kumar) এবং ওড়িশা এফসি (Odisha FC) থেকে নন্দকুমার শেখরকে (Nandakumar Sekar) আগেই দলে নিয়েছিল তারা। এবার সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার সল ক্রেসপোকে (Saul Crespo) সই করিয়ে রীতিমতো চমক দিল লাল হলুদ টিম ম্যানেজমেন্ট। ২৬ বছর বয়সি স্প্যানিশ ফুটবলারটিও গত মরশুমে ওড়িশা এফসির হয়ে খেলেছেন। মোট ১৮টি ম্যাচে ৬০টি ট্যাকল, ৩৭টি ইন্টারসেপশন, ৪৪টি ক্লিয়ারেন্স এবং ৩২টি ব্লকিং এবং ৯টি ক্রস রয়েছে তাঁর নামের পাশে। সেই সঙ্গে খেলেছেন মোট ৯৭০টি পাস, পাসিং অ্যাকিউরেসি ৭৩.৫ শতাংশ।
ইস্টবেঙ্গলে সই করার পর ক্রেসপো বললেন, ইস্টবেঙ্গল আমাকে দলে নিতে আগ্রহী এটা জানার পর আমি সেই দলে যোগ দিতে কোনও দ্বিধা করিনি। ইস্টবেঙ্গল ভারতের অন্যতম সেরা ক্লাব। গত বছর কলকাতা ডার্বি দেখেছিলাম এবং মুগ্ধ হয়েছিলাম। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সত্যি ভালো খেলতে চাই।
আরও পড়ুন: Shane Warne Biopic | ওয়ার্ন মানেই বিতর্ক, তাঁর বায়োপিকে যৌনদৃশ্য করতে গিয়ে চোট অভিনেতাদের!
চমকের এখানেই শেষ নয়। শুধু ক্রেসপোই নয়, আর এক স্প্যানিশ ফুটবলারকে নিল লাল হলুদ শিবির। ইনি মিডফিল্ডার নন, সেন্টার ফরোয়ার্ড, নাম জেভিয়ার সিভেরিয়ো (Javier Siveiro)। ২৫ বছর বয়সি ফুটবলারটি গত মরশুমে হায়দরাবাদ এফসির (Hyderabad FC) হয়ে খেলেছিলেন। সিভেরিয়ো শুধুমাত্র সেন্টার ফরোয়ার্ড নন, উইথড্রয়াল ফরোয়ার্ড হিসেবেও খেলতে পারেন। অর্থাৎ তিনি যেমন গোল করতে পারেন, তেমন গোলের সুযোগ তৈরিও করতে পারেন। গত মরশুমে মোট ২২টি ম্যাচে করেছেন ৫টি গোল। সেই সঙ্গে, ২৩টি ট্যাকল, ৫টি ইন্টারসেপশন, ১২টি ক্লিয়ারেন্স এবং ১৮টি ব্লকিং এবং ১টি ক্রস রয়েছে তাঁর নামের পাশে। ১১টি সুযোগ তৈরি করেছিলেন সিভেরিয়ো। গড় পাসিং অ্যাকিউরেসি ৬৫.৫২ শতাংশ।
ইস্টবেঙ্গলে সই করার পর সিভেরিয়ো বলছেন, শতাব্দী প্রাচীন এই ক্লাবে যোগ দেওয়া আমার জন্য সম্মানের। ভারত এক অসাধারণ দেশ, এদেশের আইএসএলে আমার অভিযান চালিয়ে যেতে পেরে রোমাঞ্চিত বোধ করছি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, আমি কোচ কার্লোস এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাবের প্রশংসা করছি। আমি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রচুর গোল করে ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করব।