কলকাতা: তৃণমূলের (TMC) প্রার্থীপদে চমক। দণ্ডি কাণ্ডে শিরোনামে আসা আদিবাসী গৃহবধূ শিউলি মার্ডিই এবার তপন পঞ্চায়েত সমিতির (Panchayat Samiti) আসনে তৃণমূলের প্রার্থী। মনোনয়ন পেশ করে শিউলি বলেন, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। দল আমাকে তার যোগ্য মনে করে টিকিট দিয়েছে। এই পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়ন করাই আমার লক্ষ্য। এই ব্লকেরই গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জিতে প্রধান হয়েছিলেন শিউলির স্বামী। শিউলি স্বামীর দেখানো পথেই চলতে চান বলেই জানিয়েছেন।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিউলি মার্ডি, মার্টিনা কিস্কু–সহ কয়েকজন মহিলা। কিন্তু তার পরদিনই তাঁরা আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন। তৎকালীন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতির চাপে এই তিন মহিলাকে রাস্তায় দণ্ডি কাটতে হয় প্রায়শ্চিত্ত হিসাবে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে সরগরম হয় রাজ্য-রাজনীতি। পরবর্তীতে জেলায় এসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওই তিন মহিলার সঙ্গে দেখা করেন। অভিযুক্ত মহিলা নেত্রীকে বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
আরও পড়ুন:Panchayat Election 2023 | TMC | টিকিট না পেয়ে বসিরহটে দুই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য কংগ্রেসে
এদিকে এই ঘটনার পরই একটি ভিডিয়ো টুইট করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে দেখা গিয়েছিল, তিনজন আদিবাসী মহিলা দণ্ডি কাটছেন। কারণ তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরছেন। তাই এই দণ্ডি কেটে তাঁরা প্রায়শ্চিত্ত করছেন বলে দাবি করেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। আর তাতেই ঢি ঢি পড়ে যায় বালুরঘাটে। কিন্তু এবার দেখা গেল পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন দণ্ডি কাণ্ডে শিরোনামে আসা আদিবাসী গৃহবধূ শিউলি মার্ডি। তিনিই এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তপন পঞ্চায়েত সমিতির আসনে।