কলকাতা: বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের নির্দেশমতো ভাঙড় ২ নং ব্লক অফিসে মনোনয়ন পেশ করতে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মারা যান এক আইএসএফ প্রার্থী । অভিযোগ উঠেছে, যে পুলিশের ওই প্রার্থীদের এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল ব্লক অফিসে, সেই পুলিশ কর্মীরা তাঁদের ফেলে রেখে পালান। এদিকে গুলি করে পালানোর সময় স্থানীয়দের হাতে ধরে পড়ে যায় এক দুষ্কৃতী। সেই দুষ্কৃতী স্বীকার করে, ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা গুলি করার জন্য তাকে ৫ হাজার তাকে ভাড়া করেছিলেন।
শুক্রবার আইএসএফ প্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম ওই দুষ্কৃতীর বক্তব্যের ভিডিয়ো আদালতে পেশ করেন। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সব শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, পুলিশই নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। আমার আশা ছিল, এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ অন্তত এফআইআর করবে। কিন্তু এটা কী হচ্ছে? এর পরেই বিচারপতি এ ব্যাপারে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেন।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আগেভাগে কংগ্রেস সাংসদ
এদিন আদালতে বামেদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, কোর্টের নির্দেশে পুলিশ থাকার পরেও এক প্রার্থীর মৃত্যু হল! এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসারদের শাস্তি দাবি করেন।
ভাঙড়ের মতোই একই ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার বসিরহাটে। আদালতের নির্দেশমতো ১১ জন বিজেপি প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল পুলিশি প্রহরায়। বিডিও অফিসের সামনে বিজেপি প্রার্থীদের গাড়ির উপর পুলিশের উপস্থিতিতেই আক্রমণ হয়। দলীয় প্রার্থী এবং নেতা কর্মীদের কয়েকজনকে মারধরও করা হয়। পরে পুলিশ সেখান থেকে চলে যায় বলে বিজেপির অভিযোগ। এদিন আদালতে বিজেপির আইনজীবী ওই ঘটনার উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।
আদালত বলে, দুটি ঘটনাতেই কেন ওই পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না রাজ্য সরকারকে তা অবিলম্বে জানাতে হবে। আদালতের নির্দেশ থাকার সত্বেও কী কারণে পুলিশ প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারল না, জানাতে হবে তাও। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।