নদিয়া: পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে রাজ্য এখন দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল। সিপিএমের (CPM) প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে তৃণমূলের বাইক বাহিনীর তাণ্ডব মারধর ভাঙচুর করার অভিযোগ। গুরুতর আহত হয়ে ভর্তি হাসপাতালে। নদীয়ার চাপরা থানা বাঙ্গলজি গ্রামে। অভিযোগ আরিফ বিশ্বাস চাপড়া দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Election 2023) সিপিএমের (Nadia) হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাকে প্রথমে ফোনে ডাকে। সে তাদের সঙ্গে দেখা করতে না চাওয়ায় তার বাড়িতে গিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। আরিফকে বাঁচাতে গেলে পরিবার অন্য সদস্যরাও আহত হয়। এই ঘটনার পর আতঙ্কে রয়েছে গোটা পরিবার।
মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিন থেকেই রাজ্যের হিংসা শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হয়েছেন কংগ্রেস কর্মী। জখম হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। গত তিনদিন ধরে কার্যত আগুন জ্বলছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেয দিনে ভাঙড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়াতেও বাম কংগ্রেসের মিছিলে হামলায় অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। সিপিএমের দাবি সেখানে দুজনের মৃত্যু হয়। নন্দীগ্রাম-সহ একাধিক জায়গায় প্রকাশ্য়ে চলে এল তৃণমূলের কোন্দল। প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে। মনোনয়ন পেশ শেষ হওয়ার পরই এই বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে বীরভূমে।
গত সাত দিন ধরে যে অশান্তির পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে রাজ্যে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নোটিস পাঠিয়েছে জাতীয় তপশিলি কমিশন। কারণ রাজ্যের যে সব এলাকা গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত সেখানে এলাকাতে প্রচুর সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং তফসিলি জাতি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। সেই কারণেই জাতীয় এসসি এসটি কমিশনের এই তৎপরতা বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। তবে সাম্প্রতিক অতীতে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার কারণে কোনও জাতীয় কমিশনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব করা বা তার কাছে রির্পোট চাওয়ার ঘটনা ঘটেনি।