বীরভূম: পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই ভাঙন দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের জেলাস্তরে। বুধবার মালদহের সংখ্যালঘু সদস্যদের গণইস্তফার পর বৃহস্পতিবার আবারও এক বার ধাক্কা খেল রাজ্যের শাসকদল। এবার ভাঙন ধরল অনুব্রতহীন বীরভূমে। টাকা দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট দেওয়ার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রায় শতাধিক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক।
এদিন নন্দীগ্রাম, পাইকর ও মিত্রপুর এলাকার প্রায় শতাধিক তৃণমূল কর্মীর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মাঈনুদ্দিন শেখ। এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন এলাকার কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলত্যাগিদের অভিযোগ, তৃণমূলে স্বজন পোষণ ছাড়া আর কিছু নেই। টাকা দিয়ে প্রার্থী কেনাবেচা হচ্ছে। পুরোনো কর্মীদের প্রার্থী না করার প্রতিবাদে দল ছেড়েছেন বলে দাবি বিক্ষুব্ধদের।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের প্রতিছবি যাতে এবারের নির্বাচনে প্রতিফলিত না হয়, সে জন্য আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পাঁচ বছর আগে যে হিংসা ছবি দেখা গিয়েছিল জেলায় জেলায়, তা আটকাতে ২০২৩-এর পঞ্চায়েতের আগে নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন। প্রসঙ্গত, রাজ্যের সাতটি স্পর্শকাতর জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশের সংশোধনী চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আদালত মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে। এদিন বেলায় সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
এদিকে প্রথম পর্বে মামলা শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলে, সেরকম হলে গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়ে দেব। বিজেপির তরফে আইনজীবী সৌম্য মজুমদারের বক্তব্য, গোটা রাজ্যে ভোট কর্মী এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়া হোক। বিজেপির আরও দাবি, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারছে না বিরোধীরা।