কলকাতা: একমাসের মধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) সম্ভাবনা। ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট করা যায় কিনা তা নিয়ে রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) সঙ্গে আলোচনা। প্রয়োজন হলে এক দফায় ভোট করান হবে। আগামী একমাসের মধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে বলে এমনটাই সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচ রাজ্য নির্বাচন কমিশন সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছে। সেখান থেকেই ভোটের দিন ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মাত্র গতকালই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিযুক্ত হয়েছেন রাজীব সিনহা। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে তৎপর হন। দফায় দফআয় রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এই আমলা। ভোটের প্রাথমিক প্রস্তুতি অবশ্য সৌরভ দাস কমিশনার থাকাকালীনই সারা হয়ে গিয়েছিল।
রাজ্যের নতুন নির্বাচন কমিশনার কে হবেন তা নিয়ে গত এক মাস ধরে টানাপড়েন চলছিল। রাজ্য সরকার শুরুতেই রাজীব সিনহার নাম পাঠিয়েছিল রাজভবনে। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস তাঁর সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য চেয়ে পাঠান। একই সঙ্গে নবান্নকে দ্বিতীয় নাম পাঠাতে বলে। নবান্ন দ্বিতীয় পছন্দ হিসেবে প্রাক্তন পূর্তসচিব অজিত রঞ্জন বর্ধনের নাম পাঠায়। তা নিয়েও আপত্তি তুলে রাজভবন তৃতীয় নাম চেয়ে পাঠায়। নবান্ন অবশ্য তৃতীয় কারও নাম পাঠায়নি। অবশেষে রাজভবন রাজীব সিনহার নামেই সিলমোহর দেয়। বুধবারই তিনি দায়িত্ব গ্রহণকরেন।
এদিন নবান্ন সভাঘরে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আমি কিছু বলব না। এটা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারে পড়ে। তবে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। এবার পঞ্চায়েত ভোট করতে হবে। জনসংযোগ যাত্রা শুরু করে গত মাসে শেষের দিকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে জানিয়েছিলেন, দু-মাসব্যাপী যাত্রা শেষ হলে পঞ্চায়েত ভোট হবে। শাসকদলের এক সাংসদ নেতা পঞ্চায়েত ভোট কবে হবে, সে কথা বলতে পাকেন কি না তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তোলে। এতদিন বাম-কংগ্রেস অভিযোগ করছিল রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত ভোট করতে চায় না। বিজেপিও নানা অছিলায় ভোট পিছতে চাইছে।