ছাত্র-ছাত্রীদের মিড-ডে মিলের সামগ্রী প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে। প্রতিবাদে সামিল অভিভাবকরা। বিক্ষোভের জেরে আটক অভিযুক্ত শিক্ষক।
অতিমারী পরিস্থিতিতে বন্ধ স্কুলের দরজা। পঠন পাঠন চলছে অনলাইনের মাধ্যমে। আর ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে মিড-ডে মিল থেকে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য রাজ্য সরকারের মানবিক উদ্যোগে প্রতি মাসেই মিড-ডে মিলের সামগ্রী তুলে দেওয়া হচ্ছে অভিভাবকদের হাতে। মাসে একবার করোনা বিধি মেনে বিদ্যালয় থেকে এই মিড ডে মিলের সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এবার এই মিড ডে মিলের সামগ্রী বাড়িতে মজুত করে রাখার মারাত্মক অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন এলাকায়। অভিযোগ, দাঁতনের একামলিপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা কুঞ্জপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দৈবকি নন্দন পাল বিদ্যালয়ের মিড-ডে মিলের সামগ্রী বিদ্যালয়ে না রেখে এবং নির্ধারিত দিনে ছাত্র-ছাত্রীদের বিতরণ না করে তা নিজের বাড়িতে মজুত করে রেখেছেন। রবিবার এ নিয়েই গ্রামবাসীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন। দেখা যায়, গ্রামবাসীদের অভিযোগ সত্যি। ওই প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে রাশি রাশি মজুত করা আছে, চাল-ডাল-চিনি-সোয়াবিন-সাবান প্রভৃতি। এরপরেই আটক করা হয় ওই প্রধান শিক্ষককে। তাঁকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
চাপের মুখে তিনি বলেন, এই সামগ্রী বাড়িতে মজুত করে রাখা তাঁর ভুল হয়েছে। জয়েন্ট বিডিও জানান, তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।