প্যারিস: যেমনটা আশা করা হয়েছিল তা-ই হল। ফরাসি ওপেনের সেমিফাইনালে মুখোমুখি নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic) এবং কার্লোস আলকারাজ (Carlos Alcaraz)। সেমিফাইনাল হলেও এই ম্যাচই কার্যত ফাইনাল। একদিকে কেরিয়ারের ২৩তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার পথে ৩৬ বছর বয়সি জকোভিচ, অন্যদিকে ২০ বছরের তরুণ প্রতিভা, বর্তমানে বিশ্বের এক নম্বর আলকারাজ। নিঃসন্দেহে রোলাঁ গারোঁর (Roland Garros) সেরা ম্যাচ হতে চলেছে।
কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্বের পাঁচ নম্বর স্টেফানোস সিসিপাসের (Stefanos Tsitsipas) মুখোমুখি হয়েছিলেন স্প্যানিশ তরুণ। মনে করা হয়েছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। কিন্তু ২ ঘণ্টা ১২ মিনিটের ‘নিষ্ঠুর’ টেনিস খেলে সিসিপাসকে উড়িয়ে দিলেন আলকারাজ। তাঁর পক্ষে ম্যাচের স্কোর ৬-২, ৬-১, ৭-৬ (৭-৫)। এই ধ্বংসলীলা তিনি চালালেন অবলীলায়, হাসিমুখে, যেন কোনও ব্যাপারই নয়। আলকারাজের প্রতিভায় একদিকে বিস্মিত হল দর্শক আবার ম্যাচ একপেশে হওয়ায় কিছুটা হতাশও। ২০২১ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেন ফাইনালিস্ট এবং ২০২২-এর সেমিফাইনালিস্ট সিসিপাসকে দেখে মনে হল যেন কোনও আনকোরা খেলোয়াড়।
ম্যাচের পর আলকারাজের প্রতিক্রিয়াও চ্যাম্পিয়ন সুলভ। তিনি বললেন, তৃতীয় সেটের শেষের দিকে কিছুটা মনোসংযোগ হারিয়ে ফেলি। রিটার্নে গোটা দুয়েক ম্যাচ পয়েন্ট পেয়ে গিয়েছিলাম, তারপর ম্যাচের জন্য সার্ভও করলাম। কিন্তু ও (সিসিপাস) আরও ভালো খেলতে শুরু করল, তবে অবশ্যই ফোকাস হারিয়েছিলাম আমি। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পেরে আমি খুশি। তৃতীয় সেট জিতব সেটা শেষ পর্যন্ত বিশ্বাস করতে পেরেছিলাম।
সিসিপাসকে স্ট্রেট সেটে হারানোর পর আলকারাজ এমন একজনের মুখোমুখি যাঁকে সর্বকালের অন্যতম সেরা হিসেবে মনে করা হয়। জকোভিচের বিরুদ্ধে ম্যাচ নিয়ে তিনি বললেন, আমি সত্যিই এই ম্যাচটা খেলতে চেয়েছিলাম। আমি সবসময় বলি, সেরা হতে গেলে সেরাদের হারাতে হবে আর নোভাক জকোভিচ এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা। তাই আমার কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে এই ম্যাচ, তবে খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।
দর্শকাসনে বসে প্রতিপক্ষের ঝড় দেখলেন ‘জোকার’। অন্য কেউ হলে ভয় পেয়ে যাওয়ার কথা, কিন্তু তিনি জকোভিচ, ২২টা গ্র্যান্ড স্ল্যাম এমনি জেতেননি। আলকারাজের সঙ্গে মাত্র একবারের সাক্ষাতে হারলেও এই ম্যাচ জিততে সমস্ত অভিজ্ঞতা লাগিয়ে দেবেন সার্বিয়ান টেনিস তারকা।