নয়াদিল্লি: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই নিশানা করল বিজেপি। কংগ্রেস নেতাকে কটাক্ষ করে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সৈয়দ জাফর ইসলাম (BJP national spokesperson Syed Zafar Islam) বলেছেন, তার মার্কিন সফরের সময় তিনি “নির্লজ্জভাবে” ভারতের গণতন্ত্রের সমালোচনা করে ছিলেন। সেই সময় হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে উজ্জ্বল গণতন্ত্রের নজির ভারতদেশ। এটি কংগ্রেসের “যুবরাজ” এর উপর কড়া চড়।
সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় গণতন্ত্রের (Indian democracy) স্বাস্থ্য নিয়ে একটি প্রশ্নের উত্তরে শংসাপত্র দিয়েছেন বাইডেন সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কর্তা জন কারবি। তাঁর কথায়, ভারত প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক দেশ। কেউ নয়াদিল্লিতে যাবেন তারা নিজের চোখেই এটি দেখতে পাবেন। রাহুল গান্ধী যখন তার মার্কিন সফরের সময় আমাদের গণতন্ত্রের সমালোচনা করেছিলেন, তখন হোয়াইট হাউস বলছে ভারত একটি প্রাণবন্ত গণতন্ত্র? কংগ্রেসের যুবরাজকে কী কড়া চড়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi) অধীনে আমাদের গণতন্ত্র নিরাপদ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মাসের শেষের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (US) রাষ্ট্রীয় সফরে যাবেন। তার আগে এই মন্তব্য খতের মধ্যে প্রলেপ দেওয়া।
আরও পড়ুন: Manipur Violence 2023 | মণিপুরে শান্তির দাবিতে অমিত শাহের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ কুকিদের
গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিম দেশ গুলোতে বর্তমান ভারতের গণতান্তিক পরিবেশ নিয়ে একাধিক সমোলোচিত হয়েছে মোদি সরকার। এর কয়েকদিন আগে আমেরিকার সফরে গিয়ে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভগবানের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, উনি সব জানেন। বর্তমানে দেশের পরিচালনার ভার এমন একজনের হাতে রয়েছে যে নিজেকে সবজান্তা মনে করেন। আপনারা যদি মোদিজিকে ঈশ্বরের সামনে বসিয়ে দেন, তাহলে মোদিজি ঈশ্বরকেই বোঝানো শুরু করে দেবেন, কী করে দুনিয়া চলছে। রাহুল গান্ধী যখন এই মন্তব্য করছে তখন আমেরিকার ভারতে গণতন্ত্র নিয়ে মত প্রকাশ এক কথায় অক্সিজেন পেয়েছে বিজেপি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, নানা কারণে আমেরিকার কাজে ভারতের গুরুত্ব রয়েছে। বারাক ওবামা থেকে জো বাইডেন এরা নিজে নিজের সময়কালে ভারতে এসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নিজেরেদের সখ্যতাও বজায় রেখেছেন তাদের দেশের স্বার্থে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের গুরুত্ব আগে তুলনায় কয়েক গুন বেড়েছে। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আকর্ষণের কারণ ভারতের বিশাল বাজার। ভারতীয় একাধিক সংস্থার আমেরিকার বাজারে বিনিয়োগ করেছে, তার জেরেই ওই দেশের লক্ষ লক্ষ নতুন চাকরিও তৈরি হয়েছে। চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কৌশলগত উপকারিতাও রয়েছে। তাই সাত পাঁচ ভেবেই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছে আমেরিকা।