নয়াদিল্লি: কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে পকসো আইনে দুটি মামলা দায়ের করার পরেও নাটকীয়ভাবে অভিযোগ প্রত্যাহার করল এক নাবালিকা। এর আগে ওই নাবালিকাসহ ৭ কুস্তিগির বিজেপি এমপি ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তা ও শ্লীলতাহানির মামলা করেছিল। নাবালিকা বলে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু, হঠাৎই এদের মধ্যে নাবালিকা মেয়েটি তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় মামলা লঘু হয়ে গেল বলে মনে করছে আইনজীবী মহল।
সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭ বছরের নাবালিকাটি ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একটি নতুন বিবৃতি দিয়েছে। এখন আদালতের উপর নির্ভর করবে অভিযোগ নিয়ে পদক্ষেপ হবে কিনা। যদিও দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে মেয়েটির বাবা কোনও কথা বলতে রাজি হননি। গত ১০ মে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে প্রথম গোপন জবানবন্দি দেয় মেয়েটি। এফআইআর অনুযায়ী পুলিশ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করে। অভিযোগ প্রত্যাহারের বিষয়ে আইনজীবী রেবেকা জন বলেন, আমি একটুকুও আশ্চর্য হয়নি। গ্রেফতারির ব্যাপারে যখন ইচ্ছাকৃত দেরি করা হচ্ছে, তখন এই ভবিষ্যৎ বোঝা যাচ্ছিল। এ ধরনের মামলায় অভিযোগকারিণীর উপর চাপ সৃষ্টি করতেই মামলা দীর্ঘায়িত করা হয়। মেয়েদের কাছে এই লড়াই দীর্ঘদিন টানতে হয়, যা যন্ত্রণাদায়ক। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয় যে মেয়েরা তাদের দৈনন্দিন জীবন এবং কেরিয়ারকে বাজি ধরেই এগতে হয়।
আরও পড়ুন: CBI | Coromandel Express Accident | করমণ্ডল দুর্ঘটনার তদন্তে বাহানগা বাজার স্টেশনে সিবিআইয়ের দল
গত ৩১ মে সাক্ষী, ফোগট এবং পুনিয়া কাজে যোগ দিয়েছেন। যদিও সাক্ষী মালিক এদিন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, কাজে যোগ দিলেও তাঁদের আন্দোলন চলবে। তিনি বলেন, আমরা অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেছি। খুবই সাধারণ আলোচনা হয়েছে। আমাদের একটাই দাবি, ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করতে হবে। আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি না। রেলের কাজে যোগ দিয়েছি। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ চলবে, এটা সকলকে স্পষ্ট করে জানিয়ে রাখছি। আমরা পিছু হটছি না। নাবালিকাও এফআইআর প্রত্যাহার করবে না, যা রটছে তা ভুয়ো খবর।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন আন্দোলনকারী কুস্তিগিররা। দেখা করার পর কুস্তিগির বজরং পুনিয়া জানান, তাঁরা ফেডারেশন সভাপতি তথা বিজেপি এমপি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন। শনিবার বেশি রাতে অমিত শাহের দিল্লির বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন কুস্তিগিররা। রাত ১১টার সময় শুরু হওয়া বৈঠক চলে প্রায় ঘণ্টাখানেক। সেখানে পুনিয়া ছাড়াও ছিলেন সাক্ষী মালিক, সঙ্গীতা ফোগট এবং সত্যার্থ কাদিয়াঁ।