সাগরদিঘি: সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসকে সংবর্ধনা দিল তৃণমুল। এই প্রথম তৃণমূলের প্রকাশ্য সভায় বায়রন। তাঁকে ঘিরে উৎসাহ উন্মাদনা সাগরদিঘির তৃনমুল শিবিরে। কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ঘাটালে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বায়রন এখন রাজনীতি মঞ্চে আলোচ্য বিষয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাগরদিঘি বাজারের হাইস্কুল মাঠে সেই বায়রনকে সংবর্ধনা দিলেন জঙ্গিপুর তৃণমুল সাংসদ খলিলুর রহমান, জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃনমুল চেয়ারম্যান কানাই রায়, মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের সভাধিপতি শামসুজ্জোহা বিশ্বাস , সাঘরদিঘির তৃনমূল প্রার্থী তথা জেলা কমিটির সাধরণ সম্পাদক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক আশিস মার্জিত, মহম্মদ আলি সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব। সাগরদিঘি বিধানসভায় ফের উন্নয়ন হবে বলে আশাবাদী স্থানীয় মানুষ।
বায়রন বিশ্বাস (Bairon Biswas) তৃণমূলে (TMC) যোগ দেওয়ায় আগেই বিক্ষোভ (Agitation) শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিভিন্ন এলাকায়। কংগ্রেস (Congress) কর্মীরা বায়রনের বিরুদ্ধে মিছিল করেন। সোমবার সন্ধ্যায় সাগরদিঘিতে (Sagardighi) কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা বায়রনের ছবিতে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখান। স্লোগান ওঠে বিশ্বাসঘাতক বায়রন দূর হটো, সাগরদিঘিতে তোমার স্থান নেই ইত্যাদি। পরে বায়রনের ছবি লাগানো পোস্টার পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Aajke | ‘জনজোয়ার’-এর পাল্টা রোড শো, চাপে কাঁথির খোকাবাবু?
মাত্র তিন মাস আগে সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে বায়রন প্রায় ২৩ হাজার ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হন। এর আগে ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের সুব্রত সাহা প্রায় ৫২ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতেই ওই কেন্দ্রে উপ নির্বাচন হয়। সুব্রত সাহার জয়ের মার্জিন ছাড়িয়ে ২২ হাজার ভোটে বায়রন জেতায় অধীরের দাবি ছিল, আসলে এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের জয় হয়েছে প্রায় ৭৪ হাজার ভোটে। অধীর আরও দাবি করেন, এই সাগরদিঘি মডেলই আগামী দিনে তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে সারা রাজ্যে কার্যকর করবে বাম কংগ্রেস জোট। বায়রন তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিধানসভায় কংগ্রেস ফের শূন্য হয়ে গেল।