গত বছরের নভেম্বর থেকে কেন্দ্রের ৩টি কৃষি আইন নিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছে কিষাণ মোর্চা সংগঠন। সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হলে গত বৃহস্পতিবার ৩ কৃষক আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে যন্তরমন্তর পৌঁছয় কিষাণ মোর্চা। তাঁরা জানান, যতদিন এই অধিবেশন চলবে ততদিন তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন বলে জানান কৃষকরা। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় তাঁদের বিক্ষোভ প্রদর্শন। যা চলবে ১৩ অগস্ট পর্যন্ত। এই বিক্ষোভে প্রতিদিন ২০০জন করে কৃষক সামিল হন। এর প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। তিনি লিখেছেন, ‘কৃষকদের সংসদ চলছে যন্তরমন্তরের ফুটপাতে। নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চলছে চুলচেরা আলোচনা। ওদিকে চলছে সংসদের বাদল অধিবেশন। একই সময়ে তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবি নিয়ে চলছে কৃষক সংসদ। আন্দোলনের এক নতুন ধারা। বিরোধীরা সমর্থন জানাচ্ছেন এই আন্দোলনকে। কৃষকরা “গুণ্ডা ” নয়, অন্নদাতা।’
আরও পড়ুন : আন্দোলনের ৭ মাস, স্মারকলিপি জমা দিলেন কৃষকরা
গত বছরের বাদল অধিবেশনে যে ৩ কৃষি নীল পাশ হয়েছিল, তার জন্য কৃষক আন্দোলন শুরু হয় ২০২০ সালের শেষ ভাগ থেকেই। বাতিল করতে হবে এই তিন কৃষি আইন, এই দাবিতেই শুরু হয়েছিল আন্দোলন। তারপর কেটে গেছে বহু মাস। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, কোনও কিছুকেই তোয়াক্কা না করে নিজেদের দাবিতে আজও আন্দোলন জারি রেখেছেন হাজার হাজার কৃষক। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বহুবার বৈঠক হলেও কেন্দ্র মেনে নেয়নি তাঁদের দাবি। ধীরে ধীরে ভারতের অন্যান্য রাজ্যতেও শুরু হয় আন্দোলন। যার রেশ পড়েছিল বিদেশের মাটিতেও। তারপর বিধানসভা ভোটের আগে কলকাতাতে আসে কৃষকদের একটি সংগঠন। পশ্চিমবঙ্গের সকল কৃষকবন্ধুদের তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানান তাঁরা এবং সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের এই ৩ কৃষি আইনের বিরোধিতা করার ডাক দেয় কৃষক সংগঠন। তারপর ২০২১ সালের বাদল অধিবেশন। কিন্তু এখনও মেনে নেওয়া হয়নি কৃষকদের দাবি। যার ফলে সংসদ ভবন থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দূরে যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। তাঁদের সমর্থন জানিয়ে এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেছেন পূর্ণেন্দু বসু।